প্রতিনিধিমূলক ছবি।
ভোট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, নির্বাচনে কোনও রকম অশান্তি চাইছে না। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন রাজ্যে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ভোটপর্বে, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল কমিশন। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্যই। ধাপে ধাপে রাজ্যে আসছে তারা। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে।
১ এপ্রিলের শুরুতে যে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে তাদের মধ্যে রয়েছে, ১৫ কোম্পানি সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স), পাঁচ কোম্পানি বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) এবং সাত কোম্পানি সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)। এই ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের কোথায় কোথায় মোতায়েন করা হবে, সে ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে কমিশন।
ইতিমধ্যেই দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এ রাজ্যে এসে গিয়েছে। জেলায় জেলায় তাদের পাঠানো হয়েছে। তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। এলাকায় এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে তারা। সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই আগে থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে কমিশন। প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। জওয়ানদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের সাহস জোগাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশকেও।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন জওয়ানেরা। এমনকি, কোথাও কোনও অসুবিধা হলে তাঁদের জানাতে বলছেন। ১ মার্চ থেকে রাজ্যে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছিন আরও ৫০ বাহিনী। প্রতি দিন তাদের বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে যাতে নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা, সুরক্ষার বার্তা দিতেই রুট মার্চ করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।
উল্লেখ্য, সাত দফায় এ রাজ্যে নির্বাচন হবে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে। তবে নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই রাজ্যে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপকে অনেকেই মনে করছেন ‘নজিরবিহীন’।