গঙ্গারামপুরে সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।
বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে প্রচারে বেরিয়েছিলেন অভিনেতা-বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে গঙ্গারামপুরের বিখ্যাত ক্ষীর দই উপহার দিলেন সুকান্ত। আর সেই উপহারের দই মাথায় তুলে নিয়ে প্রচার সারলেন ‘মহাগুরু’। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে বেরিয়ে দই খেয়ে সিঙ্গুরের গরুর প্রশংসা করেছিলেন। আর মিঠুনকে দেখা গেল গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দইয়ের হাঁড়ি মাথায় নিয়ে প্রচার সারতে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রয়েছেন মিঠুন। সন্ধ্যায় তপন ব্লকে একটি জনসভায় অংশগ্রহণ করেন। দলের পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার সকালে গঙ্গারামপুর বিডিও অফিস মোড় থেকে শুরু হয় রোড শো। বিপ্লব মিত্রের ‘গড়’ বলে পরিচিত গঙ্গারামপুর শহরে মিঠুন-সুকান্তের রোড শোয়ে জমায়েত দেখে মুখে চওড়া হাসি স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বের। খুশি মিঠুন নিজেও। গঙ্গারামপুর চৌমাথা মোড় ধরে ওই রোড শো এগোতেই সুকান্ত মাইক হাতে নিয়ে ঘোষণা করেন, তিনি মিঠুন চক্রবর্তীকে ক্ষীর দই উপহার দিতে চান। সঙ্গে সঙ্গে দলীয় কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তড়িঘড়ি ক্ষীর দই কিনে আনা হয়। সেই দইয়ের হাঁড়ি মাথায় তুলে নেন মিঠুন। প্রিয় নেতার এই কাণ্ডে হাততালি এবং হর্ষধ্বনি দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকেরা।
বিজেপি প্রার্থী সুকান্তের সমর্থনে এই রোড শোয়ে মিঠুন ছাড়াও ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ এবং গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন রায়। সকাল ১১টা নাগাদ গঙ্গারামপুরের প্রধান সড়ক ধরে রোড শো এগোতে থাকে হাজার হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থককে নিয়ে। তার ফলে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য গঙ্গারামপুর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে তীব্র গরম এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়ার ২০০ মিটার আগেই রোড শো শেষ করতে হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। কথা ছিল বিজেপি মোড় থেকে আইটিআই কলেজ পর্যন্ত ওই রোড শো যাবে। কিন্তু গঙ্গারামপুর ব্রিজ় পেরিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎই সুকান্ত ঘোষণা করেন যে, রোড শো এখানেই শেষ হচ্ছে। তখন নাতিদীর্ঘ বক্তব্য করেন মিঠুন। প্রচার শেষে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘‘মহাগুরু আজকের রোড শোয়ে ভিড় দেখে অত্যন্ত খুশি। তিনি তাঁর খুশি ব্যক্ত করেছেন দলীয় নেতৃত্বের কাছে। আমরাও ভীষণ খুশি তাঁকে কাছে পেয়ে।