Rachna Banerjee

‘কেন হাসছি, কেন খাচ্ছি, কেন হাত নাড়ছি, সবেতেই মিম’! প্রচারে গিয়ে বিরক্তি প্রকাশ তৃণমূলের রচনার

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিয়ে তৈরি মিম নিয়ে মন্তব্য করে ভোটারদের বলেন, ‘‘সবাই ভালবাসা দিয়ো আর আশীর্বাদ কোরো। তার পর পাঁচ বছর দেখো, আমি কী করি। সব সময় পাশে পাবে। বিশ্বাস রেখো।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বলাগড় শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:০৭
Rachna Banerjee

হুগলিতে একটি কারখানার চিমনির দিকে আঙুল দিয়ে ধোঁয়া দেখাচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

শুরুটা হয়েছিল প্রচারে গিয়ে হুগলির শিল্প নিয়ে মন্তব্য দিয়ে। গাড়ির জানলা দিয়ে হুগলির কলকারখানার চিমনির ধোঁয়া দেখে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, কে বলে শিল্প নেই? হুগলির যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই তিনি ধোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন। তার মানে কলকারখানা চালু রয়েছে। এ নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। বিরোধীরা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা ডানলপ কারখানা, কেসোরাম স্পানপাইপ, উইন্ডোগ্লাস দেখে আসতে বলেন রচনাকে। তার পর দই খেয়ে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনার এতটাই ভাল লেগে যায় যে, তিনি সিঙ্গুরের গরুর প্রশংসা করেন। এখন সমাজমাধ্যমে রচনার নানা ভিডিয়ো ভাইরাল। তাঁকে নিয়ে যে ‘মিম’ তৈরি হচ্ছে, সে সম্পর্কে অবহিত তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। শনিবার প্রচারে বেরিয়ে এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন তিনি। রচনার কথায়, ‘‘আমি যা-ই করি, তা-ই মিম হয়! আমি সব সময় হাসি। সেটাও সাংঘাতিক একটা মিমের কারণ?’’

Advertisement

রচনাকে কয়েক দিন আগে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গরমে প্রচারে বেরিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি কী খান। ‘দই-বিতর্ক’ নিয়ে সচেতন রচনা বলেন, ‘‘সবচেয়ে বেশি দই খাব।’’ তার পর প্রচণ্ড হাসেন। সেই ভিডিয়ো নিয়েও প্রচুর মিম তৈরি হয়েছে। আর এ নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্য, ‘‘রচনা কেন হাসছে, রচনা কেন খাচ্ছে, রচনা কেন হাত নাড়ছে, রচনা কেন চিৎকার করে কথা বলছে— সবেতেই মিম! আমি যা করব তা-ই মিম্‌স!’’

শনিবার বলাগড়ে প্রচারে বেরিয়েছেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা। তিনি জানান, প্রচারে বেরিয়ে একটি বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে বলে তাঁকে খেয়ে যাওয়ার আবদার জানান এক ভোটার। কিন্তু তিনি বলেছেন, প্রচারে যেতে হবে। তাই বসে বিরিয়ানি খেলে তাঁর হবে না। অন্য দিকে, বলাগড়ের একতারপুর পঞ্চায়েত এলাকায় গাড়ি নিয়ে প্রচার করার সময় গ্রামের মহিলারা তাঁদের জলকষ্টের কথা বলেন। সবাই একসঙ্গে রচনাকে বলেন, পানীয় জলের অভাব রয়েছে গ্রামে। পদ্ম পাল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে জল নেই। আমরা জলের জন্য মরে যাচ্ছি। দিদিকে বলেছি। দিদি বললেন, ‘হবে’।’’ আর তৃণমূল প্রার্থী রচনা তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সবাই ভালবাসা দিয়ো আর আশীর্বাদ কোরো। তার পর পাঁচ বছর দেখো, আমি কী করি। সব সময় পাশে পাবে। বিশ্বাস রেখো। নিরাশ করব না কাউকে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement