Lok Sabha Election 2024

লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে শিবশক্তি-ভীমশক্তি জোট? ৪৮টি আসনের মধ্যে কোন দল ক’টিতে লড়তে পারে?

শিবসেনা (ইউবিটি) তার ভাগ থেকে প্রকাশ অম্বেডকরের দল ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ী’কে দু’টি আসন ছাড়বে। এনসিপি (শরদ) তাঁর ভাগ থেকে একটি দেবে প্রাক্তন সাংসদ রাজু শেট্টির দল স্বাভিমানী পক্ষকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৩

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আসন্ন লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিজেপি বিরোধী ‘মহাজোট’ হতে পারে। শুক্রবার এনডিটিভি প্রকাশিত একটি খবরে এই দাবি করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরে দাবি, তিন দলের ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’ জোটের বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, সে রাজ্যের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) ২০, কংগ্রেস ১৮ এবং শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) ১০টিতে লড়বে।

Advertisement

শিবসেনা (ইউবিটি) তার ভাগ থেকে বিআর অম্বেডকরের পৌত্র প্রকাশ অম্বেডকরের দল ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ী’ (বিভিএ) দু’টি আসন ছাড়বে। এনসিপি (শরদ) তাঁর ভাগ থেকে একটি আসন ছাড়বে প্রাক্তন সাংসদ রাজু শেট্টির দল স্বাভিমানী পক্ষকে। তবে প্রাক্তন সাংসদ প্রকাশ এখনও অন্তত সাতটি আসনের দাবিতে ‘অনড়’ বলে ‘ইন্ডিয়া’র একটি সূত্রের খবর।

২০১৯-এর লোকসভা ভোটে হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল বিভিএ। ‘মিম’ অওরঙ্গাবাদ আসনটি জিতলেও প্রকাশের ঝুলি ছিল শূন্য। গত বছর উদ্ধবের দলের সঙ্গে জোটের ঘোষণা করেছিলেন বিআর অম্বেডকরের পৌত্র।

মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী জোটে রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের দল। সেই জোটে প্রকাশের অন্তর্ভুক্তি হলে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে মরাঠা-দলিত নয়া সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সে ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবেই চাপে পড়বে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা, উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি এবং বিজেপির জোট।

মরাঠওয়াড়া, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে দলিত জনগোষ্ঠীর উপর প্রভাব রয়েছে প্রকাশ অম্বেডকরের। একদা কংগ্রেসের সহযোগী ছিলেন তিনি। অকোলা থেকে ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে দু’বার লোকসভা ভোটেও জিতেছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর সঙ্গে জোট গড়েছিলেন তিনি। নিজে শোলাপুর লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেও পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার ভোট। প্রকাশের কারণেই ওই কেন্দ্রে বিজেপির কাছে হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থী তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে।

অন্য দিকে, কৃষক নেতা রাজু দক্ষিণ মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণ উপকূলের প্রভাবশালী নেতা। হটকানঙ্গলে লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে এনডিএ এবং ইউপিএ প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ‘ইন্ডিয়া’র একটি সূত্রে জানাচ্ছে, আসন সংখ্যা নিয়ে মোটের উপর রফা হলেও আসন চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে মুম্বই-সহ বেশ কিছু এলাকায় কংগ্রেস এবং শিবসেনা (ইউবিটি)-র মধ্যে এখনও টানাপড়েন চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement