(বাঁ দিকে) ইরফান পাঠান এবং ইউসুফ পাঠান (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র
ক্রিম রঙের ট্রাউজ়ার, সঙ্গে ম্যাচিং টি-শার্ট আর স্পোর্টস ক্যাপ। পায়ে ব্ল্যাক স্নিকার্স। চপার থেকে নেমে কালো গাড়িতে সোজা দাদা ইউসুফের অস্থায়ী ঠিকানায়। গায়ের কালো হুডি বুঝিয়ে দিল তিনি এখনও বহরমপুরের রাজনৈতিক উত্তাপ টের পাননি। তবে লড়াই যে কঠিন, ঠারেঠোরে স্বীকার করে নিলেন সে কথাও। পাঁচ বারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর সঙ্গে ‘ভাই’ ইউসুফ পাঠানের নির্বাচনী লড়াই কতটা কঠিন, তা বোঝাতে ক্রিকেটের অনুষঙ্গ টানলেন ‘ছোটে পাঠান’। চোট নিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও ক্রিকেট মাঠে লড়াই করে দুই ভাইয়ের জিতে আসার কথা উঠে এল ইরফানের কথায়। দুপুরে রোড-শো শুরুর আগেই ইরফানকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। তবে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের প্রচার কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার ইরফান এক দিনের জন্য বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে এসেছেন ‘ভাই’ ইউসুফের জন্য। রেজিনগর, বেলডাঙা-সহ বহরমপুর লোকসভার বিভিন্ন এলাকায় রোড-শো করবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন দাদা ইউসুফও। আগামী ১৩ মে ভোটগ্রহণ বহরমপুরে। ১১ তারিখ শেষ পর্বের প্রচার। শেষ প্রচারের ৪৮ ঘণ্টা আগে দুই পাঠানকে দিয়ে রোড-শো করিয়ে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে তৃণমূল।
‘ভাই’য়ের জয় প্রসঙ্গে কতটা আত্মবিশ্বাসী জানতে চাওয়ায় বহরমপুর হোটেলে পৌঁছে ইরফান বলেন, “আমার ভাই অত্যন্ত সৎ। আপনারা সবাই জানেন ইউসুফ কতটা পরিশ্রমী। যে ভাবে ওর প্রচারে মানুষের সাড়া দেখলাম, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইউসুফ জিতবে। আমার এ-ও বিশ্বাস যে, ও খুব ভাল কাজ করবে।” রাজনৈতিক ক্রিজ়ে ইউসুফের দিকে বাউন্সার ধেয়ে আসে। অধীর পাঁচ বারের সাংসদ। ষষ্ঠ বারও ছক্কা হাঁকাবেন বলছেন, কী হবে মনে হচ্ছে? বাউন্সার সামলে বল মাঠের বাইরে বার করলেন ইরফান। তিনি বলেন, “আমরা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসিনি। আমরা দেশের জন্য খেলেছি। চোট নিয়ে খেলে বিশ্বকাপ জিতেছে ‘ভাই’। তাই প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই জানি। কষ্টের মধ্যেও লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আছে ওর।” ইরফান পাঠানের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “কে কোথায় তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছেন, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। খেলোয়াড় হিসেবে ইরফান পাঠানকে অবশ্যই সম্মান করি। কিন্তু রাজনৈতিক দলের নেতা হিসাবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কতখানি, তা মানুষ বলবে।”