TMC BJP

‘বাংলায় মোদীর পরিবারে কারা?’ সাংসদ-প্রার্থীদের ছবি দিয়ে ক্রিমিনাল তির তৃণমূলের, পাল্টা তোপ বিজেপির

গত লোকসভার পরিসংখ্যান বলছে, বেশির ভাগ সাংসদের ক্ষেত্রেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে ধর্ষণ, খুনের মামলার মতো ধারাও রয়েছে। কেউ কেউ সে সব মামলায় জেলবন্দিও ছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:০১
How many criminal cases, poster series posted by TMC against some candidate of BJP

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দেশবাসীকে নিজের পরিবার বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কথাকেই লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের মূল হাতিয়ার করে ফেলেছে বিজেপি। গোটা দেশের মতো বাংলার বিজেপি নেতারাও তাঁদের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) নিজেদের নামের পাশে বন্ধনীতে লিখছেন ‘মোদীর পরিবার’। এ বার তা নিয়েই পদ্মশিবিরকে বিঁধতে চাইল বাংলার শাসকদল তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ শানাল পদ্মশিবিরও।

Advertisement

মঙ্গলবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্টারের সিরিজ় পোস্ট করা হয়েছে। তাতে কী রয়েছে? প্রথম পোস্টারেই লেখা হয়েছে, ‘বাংলায় কাদের নিয়ে মোদীর পরিবার? উত্তর: বিপজ্জনক অপরাধীদের নিয়ে।’ সেই পোস্টারের সিরিজ়েই বিজেপির বিদায়ী সাংসদ এবং এ বারের লোকসভা ভোটের প্রার্থীদের ছবি দিয়ে তৃণমূল পরিসংখ্যান দিয়েছে, কার বিরুদ্ধে ক’টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যেমন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক তথা লোকসভায় মুর্শিদাবাদের প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে রয়েছে ২৩টি মামলা। তেমনই খগেন মুর্মু, মনোজ টিগ্গা, অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতদের নামে কতগুলি করে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তা প্রকাশ্যে এনেছে তৃণমূল।

বাংলার শাসকদলের এ হেন প্রচারকে পাল্টা সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে বিজেপি। পদ্মশিবিরের নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘তৃণমূল আগে নিজেরা আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াক। ওদের বিধায়কই প্রচারে বলছেন, কর্মীরা ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন। কী করে চাইবেন? তৃণমূলের হয়ে ভোটের কথা বলতে গেলেই তো লোকে বলবে চোর! তাই তৃণমূল এখন এ সব আজগুবি প্রচার চালাবে।’’ রাহুল আরও বলেন, ‘‘যত মামলার কথা তৃণমূল বলছে, আমাদের নেতা, সাংসদদের বিরুদ্ধে সব মামলাই ওদের দলদাস পুলিশের দেওয়া। এর কোনও অর্থই হয় না।’’

রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা কোনও নতুন বিষয় নয়। বামেরা আবার ফৌজদারি মামলাকে ‘গর্ব’ হিসাবে দেখায়। কোন নেতার বিরুদ্ধে কত মামলা, কত দিন জেল খাটতে হয়েছে, কোনও মামলার কারণে আত্মগোপন করে থাকতে হয়েছে কি না— যাবতীয় তথ্য পেশ করতে হয় দলীয় সম্মেলনে।

গত লোকসভার পরিসংখ্যান বলছে, বেশির ভাগ সাংসদের ক্ষেত্রেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে ধর্ষণ, খুনের মামলার মতো ধারাও রয়েছে। কেউ কেউ সে সব মামলায় জেলবন্দিও ছিলেন। এ বার নির্বাচন কমিশনও এ ব্যাপারে বিশেষ বন্দোবস্তের কথা বলেছে। কমিশন নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময়েই জানিয়ে দিয়েছে, প্রার্থীদের হলফনামা দেওয়ার সময়ে শুধু ফৌজদারি মামলা ক’টি, তার সংখ্যা জানালে হবে না। কী কী মামলা, তাতে কোন কোন ধারা রয়েছে, তারও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। যাতে প্রার্থীদের পরিসংখ্যানের বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকে।

আরও পড়ুন
Advertisement