Lok Sabha Election 2024

রাজ্যে তিন কোটির বেশি নগদ উদ্ধার চলতি মাসেই, কমিশনের কোপ সরকারি বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়েও

কমিশন জানিয়েছে, সিভিজিল অ্যাপে ১৬ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ২৬৭টি অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করেছে কমিশন। ৬১টি অভিযোগ খারিজ করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ১৮:৩২
image of note

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

রাজ্যে ১ মার্চ থেকে কত টাকা নগদ, পানীয়, মাদক, দামি ধাতু উদ্ধার হয়েছে, বৃহস্পতিবার তার তালিকা দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী সাংবাদিক বৈঠক করে এই তথ্য দিয়েছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, গত ১ মার্চ থেকে রাজ্যে নগদ তিন কোটি ৯৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। বুধবারের নির্দেশের পর থেকে কোন জেলায় কত সংখ্যক সরকারি প্রচারমূলক পোস্টার, ব্যানার সরানো হয়েছে, তারও পরিসংখ্যান দিয়েছে কমিশন। যেগুলির অনুমোদন নেই, সেগুলিই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার অরিন্দম জানান, চলতি বছর ১ মার্চ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে ২৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার মদ, ১১ কোটি ১২ হাজার টাকার মাদকদ্রব্য, ১৮ কোটি ১৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার দামি ধাতু, ৩২ কোটি ৫২ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার উপঢৌকন উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলির উৎসের খোঁজ মেলেনি।

অরিন্দম জানিয়েছেন, কোচবিহার থেকে ১০ হাজার ৭৩১টি, আলিপুরদুয়ার থেকে ৩,৬০৮টি, জলপাইগুড়ি থেকে ৫,৫২১টি অননুমোদিত পোস্টার ব্যানার সরানো হয়েছে। গোটা রাজ্য থেকে সরানো হয়েছে এক লক্ষ ৯১ হাজার ২২২টি পোস্টার এবং ব্যানার। বুধবারই রাজ্যগুলির থেকে রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। তারা জানায়, ভোটঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়ে গিয়েছে সরকারি বিজ্ঞাপনের পোস্টার, ব্যানার। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে। এই নিয়েই রিপোর্ট তলব করে কমিশন। সরকারি বিজ্ঞাপনের যাবতীয় পোস্টার এবং ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য রাজ্যগুলিকে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে প্রচারমূলক পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানানো হয়। এ বার কত পোস্টার, ব্যানার সরানো হয়েছে, তারই পরিসংখ্যান তুলে ধরল কমিশন।

রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী এবং ডেপুটি সিইও সুব্রত পাল।

রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী এবং ডেপুটি সিইও সুব্রত পাল। — নিজস্ব চিত্র।

বৃহস্পতিবার কমিশন আরও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত রাজ্যে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। রাজ্যে লাইসেন্স রয়েছে এমন অস্ত্রের সংখ্যা ৫২ হাজার ১৫৭। তার মধ্যে থানায় জমা রয়েছে ২১ হাজার ৪৭৬টি। নির্বাচনী আচরণবিধি জারির পর থেকে রাজ্যের ভিতরে এবং সীমানায় নাকা চেকিং চলছে। সীমানায় ৯১টি জায়গায় নাকা চেকিং চলছে। রাজ্যের ভিতরে ৫৭৬টি জায়গায় নাকা চেকিং চলছে।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যে আর কী কী পদক্ষেপ করেছে কমিশন, তা-ও বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছে তারা। প্রচার করতে চেয়ে এখন পর্যন্ত ১,২৪৯টি আবেদন জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের জেলাশাসক বদল করা হয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য সিভিজিল নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে কমিশন। সেই অ্যাপে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে কমিশন ১০০ মিনিটের মধ্যে তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে। অরিন্দম জানিয়েছেন, সেই অ্যাপে ১৬ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ২৬৭টি অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করেছে কমিশন। ৬১টি অভিযোগ খারিজ করেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement