Congress on Seat Sharing and Alliance

আসনরফায় দেরিই হয়েছে! মমতার অভিযোগ মেনেও কংগ্রেসের তোপ, ‘জোটসঙ্গীরা ঠিক কী চাইছে স্পষ্ট নয়’

লোকসভা ভোটে বাংলায় একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। কারণ হিসাবে কংগ্রেসের আসনরফা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতাকেই দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১০

—ফাইল চিত্র।

বাংলা বা দিল্লিতে আসনরফা নিয়ে আলোচনায় একটু দেরিই করে ফেলেছে তারা, মেনে নিল কংগ্রেস। তবে একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, জোটসঙ্গীদের আসল উদ্দেশ্য কী, তা বুঝতে পারছে না তারা।

Advertisement

লোকসভা ভোটে বাংলায় একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন কংগ্রেসকে একটিও আসন না ছাড়বেন না বাংলায়। কারণ হিসাবে কংগ্রেসের আসনরফা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতাকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার কার্যত মমতার সেই অভিযোগই মেনে নিয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত আরও একটু আগে নেওয়া গেলেই ভাল হত!’’

দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের এই উপলব্ধি অবশ্য আচমকা নয়। বাংলা থেকে খালি হাতে ফেরার পর পঞ্জাবেও ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। শাসকদল আপ জানিয়েছে, তারা একাই লড়বে পঞ্জাবে। এর পরে মঙ্গলবার দিল্লিতেও আপের কাছে লোকসভা ভোটে মাত্র একটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। মোট সাতটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি কংগ্রেসকে ছেড়ে আপ বলেছে, ‘‘কংগ্রেস ওই একটি আসনও পাওয়ার যোগ্য নয়।’’ এর পরেই কংগ্রেসের মুখপাত্রের মুখে শোনা গিয়েছে আফসোসসূচক ওই মন্তব্য। জয়রাম বলেছেন, ‘‘আমি মানছি, আমাদের সামান্য দেরি হয়েছে। কিন্তু এই কাজটিও সহজ নয়। জাতীয় স্তরে আমরা জোটসঙ্গী হলেও কিছু কিছু রাজ্যে আমরা কিছু জোটসঙ্গীর বিরুদ্ধে লড়ছি। দিল্লি এবং পঞ্জাবের বিষয়টা তেমনই।’’

ব্যাখ্যা করে কংগ্রেস বলেছে, ‘‘জোটসঙ্গী শিবসেনা, ডিএমকে, এনসিপি বা সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে এমন সমস্যা হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাবে হয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে আমরা আরও বেশি আসনে লড়তে চেয়েছি। শাসকদল আপ এবং তৃণমূলও তাই চেয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী যে, একটা মধ্যপন্থা দ্রুত বেরিয়ে আসবে। আসনরফা নিয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব আমরা।’’

প্রসঙ্গত কংগ্রেসের হাত ছেড়ে রাজ্যে লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে মমতা বলেছিলেন, কংগ্রেসকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল আসনরফার জন্য। কিন্তু কংগ্রেস সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি বলেই তৃণমূল বাংলায় একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কংগ্রেস তখনও বলেছিল, ‘‘আশা করি তৃণমূল এখনও বিজেপির বিরুদ্ধেই লড়ছে।’’ মঙ্গলবার আরও একটি দল কংগ্রেসে অনাস্থা প্রকাশ করেছে। ক্ষোভপ্রকাশ করে রমেশ বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় জোটের লক্ষ্য ‘মোদী হটাও’ নয়, আসলে এঁদের স্লোগান ‘কংগ্রেস কো ঘটাও’ (কংগ্রেসের আসনসংখ্যা কমাও)।’’

আরও পড়ুন
Advertisement