Kota

‘কোটা ফ্যাক্টরি’ থেকে বার হচ্ছে একের পর এক ছাত্রের দেহ! চলতি বছরে চতুর্থ বলি আরও এক ছাত্র

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণের কেন্দ্র হিসাবে বিখ্যাত কোটা। আইআইটিতে ভর্তির পরীক্ষা থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যালের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষারও ‘কোচিং হাব’ বলা হয় রাজস্থানের এই শহরকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৪

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে এসে বলি হল আরও এক ছাত্র। রাজস্থানের কোটায় মঙ্গলবার এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর হস্টেলের ঘর থেকে। এই নিয়ে চলতি বছরে কোটায় চার জন ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালেও ২৯ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেছিলেন কোটায়।

Advertisement

মঙ্গলবারের ঘটনাটিতে পুলিশ জানতে পেরেছে, কোটার ওই আত্মঘাতী ছাত্র দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরেই চুপচাপ ছিলেন। যদিও তাঁর কী সমস্যা হয়েছে, তা বলতে পারেননি তাঁর হস্টেলের সতীর্থরা।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তিনি নিয়মমাফিক বাড়িতে ফোন না করায় পরিবারের লোকজন হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে ফোন করেন। এর পরেই ছাত্রের ঘরের দরজা খুলে দেখা যায়, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে তাঁর দেহ।

উল্লেখ্য, রাজস্থানের কোটা বিখ্যাত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণের কেন্দ্র হিসাবে। আইআইটিতে ভর্তি হওয়া পরীক্ষা থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং, চিকিৎসক হওয়ার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষারও কোচিং হাব বলা হয় কোটাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা কোটায় এসে সেখানে থেকে পড়াশোনা করেন। কিন্তু তার সঙ্গে প্রতিযোগিতার অমানুষিক চাপও নিতে হয় তাঁদের। এই নিয়ে ‘কোটা ফ্যাক্টরি’ নামে একটি ওয়েব সিরিজ়ও তৈরি হয়েছে।

কী ভাবে কোটার সফল ছাত্র গড়ার কারখানায় একের পর এক ছাত্র প্রবেশ করেন এবং কী ভাবে সেই প্রক্রিয়ার বলি হন অনেকে, তা নিয়ে বহু বার বহু আলোচনা হলেও পরিস্থিতি বদলায়নি। গত বছর গড়ে প্রতি মাসে অন্তত ২ জন করে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে কোটায়। আর নতুন বছরেদেড় মাসের মধ্যেই চার জনের মৃত্যু হল কোটায়।

Advertisement
আরও পড়ুন