Rahul Gandhi

আনন্দবাজার অনলাইনের প্রচার মিটারে রাহুল গান্ধী

জমে উঠছে দিল্লিবাড়ির লড়াই। সেই যুদ্ধের মূল যোদ্ধাদের প্রচার মাপতে আনন্দবাজার অনলাইনে বিশেষ বিভাগ ‘প্রচার মিটারে’। এ বার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

Advertisement
ঐন্দ্রিলা বসু সিংহ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৩
কেরলের কান্নুরের জনসভায় রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার।

কেরলের কান্নুরের জনসভায় রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।

কংগ্রেস আর গান্ধী মানেই খদ্দর বা দুধসাদা কুর্তা-পাজামা জাতীয় ধারণাকে বহুদিন পাল্টে দিয়েছেন। ইদানীং যেখানেই যান, পরনে থাকে খাটো হাতা, কলার দেওয়া সাদা টি-শার্ট আর স্বাভাবিকের থেকে কিছু বেশি পকেট দেওয়া কালো প্যান্ট। কালো স্লিপার্স। ব্যাস এটুকুই। বাঁ-কব্জিতে ঘড়িও পরেন না। শুধু ডান কব্জিতে থাকে হলুদ নীল সুতো বাঁধা একটি কড়া। এখানেও তা-ই।

Advertisement

কেরলের কান্নুরে সভা। এই কেন্দ্রে গতবার জিতেছিল কংগ্রেস। রাহুলকে আত্মবিশ্বাসীই শোনাল। সরকার গড়লে কংগ্রেস কী কী করবে, তার প্রতিশ্রুতিতে ভরিয়ে দিলেন। ভারতের বৈচিত্র বোঝালেন মঞ্চে উপহার পাওয়া রঙিন ফুলের স্তবক দিয়ে। বললেন, নরেন্দ্র মোদী এই ভারতকে বোঝেন না। তিনি সব একই রঙের ফুলে সাজাতে চান। দক্ষিণ ভারতীয়েরা নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে গোঁড়া। সেই দক্ষিণের ভোট এ বার বিজেপি ঝুলিতে ভরতে চাইছে। রাহুল অবশ্য ভাষা-দোসা সব মিলিয়েই প্রধানমন্ত্রীর ‘দক্ষিণী অজ্ঞানতা’ প্রমাণ করে ছাড়লেন।

স্টেডিয়ামে সভা। আসন সব ভর্তিই ছিল। রাহুলের দোসা নিয়ে মোদীকে আক্রমণ উপভোগই করল জনতা। রাহুল বলছিলেন, ‘‘রোজ সকালে উঠে ভাবি, বিজেপি এবং আরএসএসকে কী করে জ্বালাব!’’ বলছিলেন, সরকার গড়লে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বছরে ১ লক্ষ টাকা করে দেবেন। শুনে কখনও হাসির রোল উঠছিল ভিড়ে। কখনও পড়ছিল করতালি। রাহুলের নামে স্লোগানও শোনা যাচ্ছিল জমায়েত থেকে।

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement