Mamata Banerjee

আনন্দবাজার অনলাইনের প্রচার মিটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জমে উঠছে দিল্লিবাড়ির লড়াই। সেই যুদ্ধের মূল যোদ্ধাদের প্রচার মাপতে আনন্দবাজার অনলাইন শুরু করল নতুন বিভাগ ‘প্রচার মিটারে’। প্রথমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
ঐন্দ্রিলা বসু সিংহ
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৬:২১
কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার। লোকসভা ভোটের প্রচারে।

কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার। লোকসভা ভোটের প্রচারে। ছবি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ।

লেবু সবুজ পাড়ের হালকা সুতির সাদা শাড়ি। আঁচলে নীলবাড়ির তুঁতে নীল ছোঁয়া। সঙ্গে তাঁর চিরপরিচিত কনুই ছোঁয়া সাদা ব্লাউজ়। শেষ মার্চে হাঁসফাঁস করা গরমেও শাড়ির আঁচল জড়িয়ে গুঁজে নিয়েছিলেন কোমরে। যাতে উড়ে না যায়। হাতে ধূসর রঙের ব্যান্ডের স্মার্ট ওয়াচ। শাড়ির আড়াল থেকে দেখা যাচ্ছিল কোমরের ব্যথা সামলানোর কালো বেল্টও।

Advertisement

স্টিকিং প্লাস্টার খুলে ফেলে মঞ্চে। কপালে স্পষ্ট ক্ষতচিহ্ন। ৩৭ ডিগ্রির গরমকে টেক্কা দিল মমতার ৪৫ মিনিটের উত্তপ্ত বক্তৃতা। খেলা শুরু করলেন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। ছুটলেন মঞ্চময়। দেশ আর রাজ্যের নানা বিষয়ের তিনিসুলভ মেলবন্ধন। মাঝে মা-বোনেদের উপোস নিয়ে তিনিসুলভ ব্যক্তিগত ছোঁয়াও। এবং মাপা হুমকি। সেখানে ছুঁয়ে রাখলেন সিরাজদৌল্লা আর ক্লাইভের পলাশির যুদ্ধপ্রান্তরকেও।

দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় দেড়টা পর্যন্ত যে ভাবে উৎসাহের জোয়ার বয়েছে সভার মাঠে, তাতে কে বলবে এটা মাঝ চৈত্রের দুপুর! মঞ্চ থেকে দর্শকাসনের দিকে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছিলেন মমতা। সঙ্গে সঙ্গেই ভেসে আসছিল জবাব। বরং কখনও কখনও মমতার বক্তৃতা বিঘ্নিতই হচ্ছিল অতি উৎসাহের প্রাবল্যে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে।

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

Advertisement
আরও পড়ুন