(বাঁ দিকে) রথীন চক্রবর্তী। (ডান দিকে) অরূপ রায়। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল ছেড়েছিলেন গত বিধানসভা ভোটে। সেই রথীন চক্রবর্তীকে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। শনিবার প্রচারে বেরিয়ে মন্ত্রী অরূপ রায়ের ‘আশীর্বাদ’ নেওয়ার জন্য তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেলন রথীন। মন্ত্রী বাড়িতে থাকলেও ‘ব্যস্ততার কারণে’ তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। তবে রথীন জানান, রাজনৈতিক মতপার্থক্য রয়েছে। সৌজন্যের খাতিরে তিনি অরূপের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
শনিবার সকালে হাওড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাসুন্দিয়া রোডে নির্বাচনী প্রচার করছিলেন হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন। তাঁর হুডখোলা জিপ ষষ্ঠীতলায় পৌঁছতেই রথীন গাড়ি থেকে নেমে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক অরূপের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। মন্ত্রী তখন অফিসে ছিলেন না। নিজের ঘরে তৈরি হচ্ছিলেন বেরোনোর জন্য। তাই আর দেখা হয়নি। রথীন বলেন, ‘‘আমি এই এলাকার আদি বাসিন্দা। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের সময় মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। যদিও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। কাজের তাড়া ছিল তাঁর। ওঁর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসেছি।’’ বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, ‘‘আমি সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তাই অগ্রজ অরূপদার আশীর্বাদ চাই। দেখা হয়নি উনি ব্যস্ত ছিলেন বলে। তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সৌজন্যবোধ ছিল, আছে এবং থাকবে।’’
অন্য দিকে, তৃণমূল সূত্রে খবর, অরূপ দেখা করতে পারেননি। তবে তিনি তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘তিনিও (অরূপ) সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। তিনিও প্রার্থীকে আশীর্বাদ করছেন।’’
উল্লেখ্য, হওড়ার নাম করা চিকিৎসক ভোলানাথ চক্রবর্তীর পুত্র রথীনও চিকিৎসক। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান। শিবপুর আসন থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তবে প্রায় ৩০ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী-ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারির কাছে পরাজিত হন।