হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং রাহুল গান্ধীকে। —ফাইল চিত্র।
দল ছাড়ছেন না। তবে অসমের দুই কংগ্রেস বিধায়ক, কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এবং বসন্ত দাস সে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ঘটনার উল্লেখ করে, লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে ভাঙনের বার্তা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ওই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তিনি খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে।
বুধবার হিমন্ত বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী কংগ্রেস বিধায়কদের তাঁর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় নিয়ে অসম ছাড়ার আগে রাজ্য বিধানসভাকে অস্তিত্বহীন করবেন বলেছিলেন। তার কয়েক দিন পরেই এই ঘটনা ঘটল। এটি রাহুলকে উপহার!’’ হিমন্তের দাবি, আরও কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হিমন্ত মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পীযূষ হজারিকা বুধবার দাবি করেছেন, কমলাক্ষ, বসন্ত-সহ মোট চার জন বিধায়কের সঙ্গে তাঁদের ‘যোগাযোগ’ রয়েছে।
জানুয়ারিতে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ অসমে প্রবেশের পর থেকেই বার বার সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের বাধার মুখে পড়ছে। নগাঁওয়ের বটদ্রবায় শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থানে রাহুলকে ঢুকতে দেয়নি হিমন্তের পুলিশ। যোগ দিতে দেয়নি গুয়াহাটিতে পূর্বঘোষিত সাংবাদিক বৈঠকে। এমনকি, হিমন্তের নির্দেশে ‘জনতাকে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া’র অভিযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নয়া দাবি— ‘‘বিধানসভায় ভাঙচুর চালানো, অশান্তি সৃষ্টির জন্য কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাহুল।’’