প্রতীকী চিত্র।
বছরের চতুর্থ মাসেই হতে পারে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। এমনই তথ্য পেশ করা হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন বোর্ডের তরফে। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে জয়েন্ট এন্ট্রান্স-সহ বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষার সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হতে পারে পরীক্ষা। তবে, এই সূচি লোকসভা নির্বাচনের জন্য পরিবর্তন হলেও হতে পারে, এমনটাই সূত্রের খবর।
প্রথমেই স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মাসি কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা অর্থাৎ ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন নেওয়া হতে পারে ২৮ এপ্রিল, রবিবার। এই পরীক্ষা দিতে আগ্রহীদের অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই বিষয়ে বোর্ড সভাপতি মলয়েন্দু সাহা জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কারণে ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশনটির তারিখ পরিবর্তন হলেও হতে পারে। তিনি আরও বলেন, “পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সমস্ত পরীক্ষার একটি সম্ভাব্য সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে তাঁরা মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে পারেন।”
পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি এবং ফার্মাসি বিষয়ে চার বছরের ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য যে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স ল্যাটারাল ইঞ্জিনিয়ারিং টেস্ট (জিলেট) নেওয়া হবে ২৯ জুন, শনিবার। এই পরীক্ষা দিতে আগ্রহীরা ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।
এ ছাড়াও, নার্সিং, প্যারামেডিক্যাল, অক্সিলারি নার্সিং, মিডওয়াইফেরি, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য একাধিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষাগুলি ৩০ জুন, ১৪ জুলাই তারিখ নেওয়া হতে পারে, এমনটাই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। উল্লিখিত পরীক্ষা দিতে আগ্রহীরা ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
পাশাপাশি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি হওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষাও বোর্ডের তরফে আয়োজন করা হবে। ওই পরীক্ষা ২৭ এবং ২৮ জুলাই, রবিবার হতে পারে। আগ্রহীরা ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।
আগেই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল, জয়েন্ট এন্ট্রান্স-সহ অন্যান্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে মূল্যায়নের শেষে কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে না। পরীক্ষার্থীদের নিজেদের র্যাঙ্ক কার্ড ডাউনলোড করে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং র্যাঙ্ক জেনে নিতে হবে। ওই নম্বর এবং র্যাঙ্কের ভিত্তিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।