WB HS Exam 2024

উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট নিয়ে বিতর্ক এড়াতে সতর্ক শিক্ষা সংসদও, জারি নির্দেশিকা

গত বছর মাধ্যমিকের টেস্টের প্রশ্নপত্রে ‘আজ়াদ কাশ্মীর’ নিয়ে প্রশ্ন আসায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল শিক্ষামহলে। সংশ্লিষ্ট স্কুলকে শোকজ় করার পর সংসদ জানতে পারে, সংগঠনের প্রশ্ন কেনার ফলেই এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫০
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

মাধ্যমিকের পর এ বার উচ্চ মাধ্যমিক। টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন সংক্রান্ত বিতর্ক এড়াতে প্রধানশিক্ষকদের নির্দেশ দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিতর্ক বা রাজ্যের সম্মানহানি হতে পারে এমন কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। প্রশ্ন করতে হবে স্কুলের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদেরই। পরীক্ষার পর প্রশ্নপত্র শিক্ষা সংসদকে ইমেল করে পাঠাতে হবে।

Advertisement

গত বছর মাধ্যমিকের টেস্টের প্রশ্নপত্রে ‘আজ়াদ কাশ্মীর’ নিয়ে প্রশ্ন আসায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল শিক্ষামহলে। সংশ্লিষ্ট স্কুলকে শোকজ় করার পর সংসদ জানতে পারে, সংগঠনের প্রশ্ন কেনার ফলেই এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। আর তার পরেই নড়েচড়ে বসে শিক্ষা দফতর।

শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “পুরনো ব্যবস্থায় এ বারই শেষ টেস্ট। পরীক্ষা ঘিরে কোনও বিতর্ক চাইছে না সংসদ। স্কুলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। পরীক্ষায় বাইরে থেকে প্রশ্ন কেনার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।”

রাজ্য জুড়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ অধীনস্থ স্কুলের সংখ্যা ছ’হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে বহু স্কুলে ছাত্রসংখ্যা তলানিতে। অভিযোগ, আবার অনেক স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না হওয়ার ফলে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের অপ্রতুলতাও রয়েছে। সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য এত দিন এই সমস্ত স্কুলগুলি বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের কাছ থেকে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করত। শিক্ষকমহলের একাংশের দাবি, এর মাধ্যমে পরীক্ষার খরচ এবং শিক্ষক ঘাটতির মধ্যে সামঞ্জস্য আনা সম্ভব হত। কিন্তু শিক্ষা সংসদের এই নির্দেশের ফলে ছোট এবং মাঝারি স্কুলগুলির আর্থিক বোঝা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে ওই অংশ। এ প্রসঙ্গে রাজ্য প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “বহু বিষয় রয়েছে যেখানে স্কুলগুলিতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। প্রশ্ন তৈরি করা থেকে শুরু করে পরীক্ষাগ্রহণ পর্যন্ত স্কুলগুলির যথেষ্ট খরচ হয়। সেই আর্থিক খরচ কাউন্সিল বহন করে না, স্কুলগুলিকেই করতে হয়। তা হলে কাউন্সিলের এই নির্দেশ কেন?”

অন্য দিকে, বোর্ড সূত্রে খবর, সংসদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরও আপলোড করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা এখনও জারি হয়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement