WBCHSE Re-Registration Guidelines

একাদশে অনুত্তীর্ণ কয়েক হাজার, পুনরায় পরীক্ষা দিতে আগ্রহী মাত্র ১ হাজার, বাড়ছে উদ্বেগ

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। অথচ এখনও পর্যন্ত একাদশের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের সকলে নাম নথিভুক্ত না করায়, নতুন ক্লাস কত জন পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হবে, তা সুনিশ্চিত করতে পারছে না শিক্ষা সংসদ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১৫:১৬
WBCHSE Re Registration.

প্রতীকী চিত্র।

একাদশ শ্রেণিতে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে। এর জন্য আলাদা করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে নাম নথিভুক্তকরণ এবং বিষয় নির্বাচনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরেও ৩ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ১,৩৫০ জন পড়ুয়া নতুন করে নাম নথিভুক্তকরণ করেছে। অথচ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে অনুত্তীর্ণদের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজারের কাছাকাছি। সেই হিসাবে ২০১৬ থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েক লক্ষ পড়ুয়া একাদশের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি।

Advertisement

এ বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এই পরিসংখ্যান আশ্চর্যজনক! ১০ জুলাই পর্যন্ত নাম নথিভুক্তকরণের সুযোগ দেওয়ার পরেও নতুন করে পরীক্ষা দিতে আগ্রহীদের সংখ্যা সবে এক হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। অথচ কাউন্সিলের তরফে বিষয় পরিবর্তন, নতুন সিমেস্টার পদ্ধতিতে পঠনপাঠনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।”

শিক্ষা সংসদের তরফে চলতি বছরেই নতুন পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চালু করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। অথচ এখনও পর্যন্ত একাদশের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের সকলে নাম নথিভুক্ত না করায় নতুন ক্লাস কত জন পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হবে, তা সুনিশ্চিত করতে পারছে না শিক্ষা সংসদ।

তবে শুধুমাত্র অনুত্তীর্ণই নয়, ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত যাঁরা একাদশের পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেছে, এমন পড়ুয়াদের দ্বিতীয় বার পড়ার সুযোগ দিতেই এই রি-রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ তারা কেন এখনও নাম নথিভুক্ত করেনি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

একাদশের পড়ুয়াদের কী ভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে, সেই বিষয়ে নির্দেশিকা দিতে ‘রি রেজিস্ট্রেশন’ নামক দু’টি বিজ্ঞপ্তি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথমটি প্রকাশিত হয়েছে জুন মাসে, দ্বিতীয়টি জুলাইয়ে। তাতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন সিমেস্টার পদ্ধতিতে যে সমস্ত পড়ুয়ারা নাম নথিভুক্ত করবে না, তাদের একাদশের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। কারণ সমস্ত পুরনো রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। নাম নথিভুক্তকরণের জন্য ১০ জুলাই পর্যন্ত পোর্টাল চালু থাকবে।

তার পরেও এত কম সংখ্যক পড়ুয়ার নাম নথিভুক্তকরণের নেপথ্যে স্কুলগুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সংসদ সভাপতি। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের দাবি, স্কুলের তরফে নাম নথিভুক্তকরণের বিষয়টি নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে না। যার ফলে কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার কাছে এই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১,৩৫০ জন পড়ুয়া নাম নথিভুক্ত করেছে। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

এই বিষয়ে সহমত যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার। তিনি বলেন, “স্কুলছুটের সমস্যা তো আছেই। এর পাশাপাশি, স্কুলগুলির গাফিলতিও রয়েছে। তা না হলে এত কম সংখ্যক পড়ুয়া নতুন সিমেস্টার পড়তে আগ্রহী, এই বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কারণ এই পদ্ধতিতে আরও ভাল ভাবে যেমন শেখার সুযোগ রয়েছে, তেমনই বেশি নম্বর তোলার সম্ভাবনাও থাকছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement