উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজি পরীক্ষার টিপস। প্রতীকী ছবি।
এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের কাছে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা এটি। কারণ করোনার জেরে সকলের সঙ্গে বসে আলাদা ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দিতে পারেনি এই বর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়ারা। তা ছাড়া এটি জীবনের অন্যতম বড় এবং স্কুল জীবনের শেষ পরীক্ষাও বটে।
অকারণে বেশি চিন্তিত না হয়ে, ভাল ভাবে অনুশীলন করলেই পরীক্ষা ভাল হতে পারে। ইংরেজির কোন দিকগুলি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন, সেই বিষয়ে খুঁটিনাটি জানাচ্ছেন যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার।
ইংরেজি পরীক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গল্প বা কবিতার নাম, লেখকের নাম এবং গল্পের প্রধান চরিত্রের নাম মনে রাখা। আর এই নামগুলি মনে রাখার সহজ উপায় একটি চার্ট তৈরি করে নেওয়া। চার্টে ৩টি কলাম রাখতে হবে। একটিতে গল্পের নাম, একটিতে লেখকের নাম এবং বাকি কলামে প্রধান চরিত্রের নাম লিখে রাখতে হবে। বার বার চার্টটিতে নজর দিতে হবে। তা হলেই মনে রাখা অনেকটা সহজ হয়ে যেতে পারে।
এই বছর প্রথমেই এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এই পাতাটি ভাল ভাবে উত্তর করতে হবে। কারণ, এমসিকিউ প্রশ্ন থাকার কারণে পুরো নম্বর তোলার সম্পূর্ণ জায়গাও থাকে এখানে। প্রয়োজনে পেনসিল দিয়ে আলাদা কাগজে রাফ ওয়ার্ক করে লিখে নিয়ে, মূল উত্তরপত্রে লেখা ভাল।
চোখ বুলিয়ে নিতে হবে শেষ কিছু বছরের প্রশ্নপত্রে। পাশাপাশি, কবিতা ও গল্পগুলিও ভাল করে পড়তে হবে।
প্রশ্নপত্রে যে প্রশ্নগুলিতে ভাগ ভাগ নম্বর করে থাকবে, সেগুলি লিখলে ভাল নম্বর আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে, এ ক্ষেত্রে অবশ্যই যদি সঠিক উত্তর জানা থাকে তা হলেই সেটি লেখা ভাল। ড্রামার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি কার্যকর।
গ্রামারের ক্ষেত্রে, গল্প পড়ার সময়ে ভাল করে ‘প্রিপোজিশন’-সহ গ্রামারের অন্যান্য দিকগুলি নজর দেওয়া প্রয়োজন।
শেষে ‘আনসিন’-এর ক্ষেত্রে অহেতুক বেশি না লেখাই ভাল। ‘প্রেসি’ রাইটিং ভাল লিখতে না জানলে অন্যগুলি লেখা ভাল।
শেষে বলা প্রয়োজন, বেশি চিন্তা না করে ভাল ভাবে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দেওয়াই কাঙ্ক্ষিত।