আয়ুর্বেদের 'বৈজ্ঞানিক ভিত্তি' প্রচারের আর্জি ইউজিসির সংগৃহীত ছবি
আয়ুর্বেদ দিবসের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আয়ুর্বেদের 'বৈজ্ঞানিক ভিত্তি' তুলে ধরার আর্জি জানাল। আগামী ২৩ অক্টোবর দেশ জুড়ে আয়ুর্বেদ দিবস উদ্যাপিত হওয়ার কথা। আর তার আগেই এই আর্জি জানিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসি সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপাচার্যকে চিঠির দিয়ে জানিয়েছে, সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার দ্বারা স্বীকৃত কলেজ বা প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, তারা যেন আয়ুর্বেদের যে 'বৈজ্ঞানিক ভিত্তি' রয়েছে, এ কথা তুলে ধরার চেষ্টা করে। এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে 'জন সন্দেশ', 'জন ভাগিদারী' ও মানুষের 'জন আরোগ্যে'র জন্য 'জন আন্দোলন' গড়ে তুলে যত বেশি সম্ভব শিক্ষার্থী ও শিক্ষাকর্মীদের কাছে পৌঁছতে হবে।
এ ছাড়াও, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম, সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন মাধ্যম দ্বারা এই বিশাল কর্মকাণ্ডেরর ব্যাপক প্রচার চালানোর কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছে ইউজিসি।
২০১৬ থেকে ধন্বন্তরি জয়ন্তী বা ধানতেরাস-এর দিনটিকে আয়ুষ মন্ত্রক আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে পালন করে। এই বছর আয়ুর্বেদ দিবসের মূল ভাবনা হল-'হর দিন, হর ঘর আয়ুর্বেদ' অর্থাৎ প্রতিটি দিন সমস্ত গৃহে আয়ুর্বেদের ব্যবহার করা হবে।
এই বছর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত 'আজাদি কে অমৃত মহোৎসব' নামক একটি কর্মসূচির মাধ্যমে অনেকগুলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে, যার মধ্যে 'আয়ুর্বেদ অ্যাট ২০৪৭' প্রতিযোগিতাটি অন্যতম। এই অনুষ্ঠানগুলি সর্বভারতীয় আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠান এআইআইএ- দ্বারা আয়োজিত হচ্ছে। ইউজিসি জানিয়েছে, এই অনুষ্ঠান সম্পর্কিত কোনও তথ্য জানতে হলে এআইআইএ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।