C V Ananda bose

পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে জট

সমাবর্তন অনুষ্ঠান দীর্ঘ চার বছর বাদে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ ২০২০ সালের সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। বহু পড়ুয়া রয়েছেন যারা ডিগ্রি পাবেন এ বছর। এই সমাবর্তনে এম ফিল ডিগ্রি পাচ্ছেন ৭৮ জন এবং পিএইচডি ডিগ্রি পাচ্ছেন ১৮ জন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৬
রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস।

রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এ বার পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন স্থগিত রাখার নির্দেশ রাজভবনের। ২৭ এপ্রিল, শনিবার সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের। তার তিন দিন আগে রাজভবন থেকে জানিয়ে দেওয়া হল ভোটের আগে সমাবর্তন নয় ।

Advertisement

বুধবার রাজভবনের তরফ থেকে সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার জন্য নির্বানের আদর্শ আচরণ বিধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাজভবনের চিঠি পাওয়ার পরেই শনিবার সমাবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি বলেন, “নির্বাচন আচরণবিধি বলবত রয়েচে। রাজভবন থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা ভোট মিটলেই দ্রুত এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান করব।”

প্রসঙ্গত, সমাবর্তন অনুষ্ঠান দীর্ঘ চার বছর বাদে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ ২০২০ সালের সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। বহু পড়ুয়া রয়েছেন যারা ডিগ্রি পাবেন এ বছর। এই সমাবর্তনে এম ফিল ডিগ্রি পাচ্ছেন ৭৮ জন এবং পিএইচডি ডিগ্রি পাচ্ছেন ১৮ জন। রাজভবন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে আদর্শ আচরণ বিধিকে হাতিয়ার করলেও সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতের জেরেই কি এই সমবর্তন স্থগিত হল? প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক মহলের একাংশ। তার কারণ সমাবর্তনের দিন ঠিক হওয়ার পরই শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি গিয়েছিল সেখানে সমাবর্তন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, স্থায়ী উপাচার্য নেই। তাই যেন সমাবর্তনের আয়োজন না করা হয়। যদিও এই চিঠির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এটি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিল রুটিনমাফিক।

আরও পড়ুন
Advertisement