QR Code Scanner For School

পড়ুয়াদের মতো ‘কিউআর কোডে’ অ্যাটেনড্যান্স দিতে হবে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদেরও

যাদবপুর বিদ্যাপীঠ মার্চ মাসের শেষ থেকে পড়ুয়াদের জন্য কিউআর কোড অ্যাটেনড্যান্সের-এর ব্যবস্থা শুরু করেছে। আপাতত ১৫টি মোবাইল স্ক্যানার বসানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সাতটি বসানো হয়েছে স্কুলে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৯
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা 'কিউআর কোড' অ্যাটেনডেন্স দিচ্ছে।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা 'কিউআর কোড' অ্যাটেনডেন্স দিচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের নাম করে সিনেমা দেখতে যাওয়া বা অন্যত্র কোথাও ঘুরতে যাওয়ার দিন শেষ। স্কুলে প্রবেশ ও প্রস্থানের খবর এবার পৌঁছে যাবে সরাসরি অভিভাবকদের কাছে ই-ডায়েরির মাধ্যমে। এই মর্মে ‘কিউআর কোড’ স্ক্যানার চালু হল দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলে। শুধু পড়ুয়াদেরই নয়, ‘বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্সের’ ব্যবস্থা থাকার পরেও স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও আনা হল নতুন ডিজিটাল নজরদারিতে।

Advertisement

শহরের একটি স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে ‘কিউআর কোড অ্যাটেনড্যান্স’-এর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এ বিষয়ে প্রথম খবর প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইনে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠ মার্চ মাসের শেষ থেকে স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য এই ধরনের কিউআর কোড অ্যাটেনড্যান্সের-এর ব্যবস্থা শুরু করেছে। আপাতত ১৫টি মোবাইল স্ক্যানার বসানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সাতটি বসানো হয়েছে স্কুলে।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থ প্রতিম বৈদ্য বলেন, “ছাত্র স্বার্থে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের এই ব্যবস্থা। এতে নিখুঁত উপস্থিতি বোঝা সম্ভব। এই ব্যবস্থাপনায় অভিভাবকরা অনেকটাই চিন্তা মুক্ত হবেন।”

প্রত্যেক পড়ুয়ার যে আই কার্ড রয়েছে তার পিছনে এই ‘কিউআর কোড’ যুক্ত করা হয়েছে। কার্ডটি মোবাইল স্ক্যানারের সামনে স্ক্যান করলেই যেরকম উপস্থিতি বোঝানো হবে, পাশাপাশি অভিভাবকদের কাছে অ্যাপের মাধ্যমে মেসেজ পৌঁছে যাবে। এই পদ্ধতিতে শুধু যে পড়ুয়াদের আনা হয়েছে তা নয়, যে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীর আই কার্ড আছে তাদের‌ও এই নতুন পদ্ধতিতে উপস্থিতি দিতে হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে এসএমএস যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীর মোবাইলে। আর এই বিষয়টির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ প্রসঙ্গে পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘শিক্ষকদের ‘বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স’-এর ব্যবস্থা আছে। এ বার শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা আই কার্ডের মাধ্যমে নতুন এই পদ্ধতিতে উপস্থিতি দিচ্ছেন।”

বর্তমানে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত যাদবপুর বিদ্যাপীঠে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৭০০ মতো। আর শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে মোট ৬৫ জন আছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement