এবারের জয়েন্টে পূর্ব বর্ধমানের শ্রীরাজ চন্দ্র দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। নিজস্ব চিত্র।
লেখালেখির শখ রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের হোলি অ্যাঞ্জেল'স স্কুলের পড়ুয়া শ্রীরাজ চন্দ্রের। এই পড়ুয়াই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় দশম স্থানাধিকারী হিসেবে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি আইএসসি বোর্ডের পড়ুয়া হিসেবেই এই বছরের জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
শ্রীরাজ তাঁর এই সাফল্যের কৃতিত্ব ভাগ করে নিয়েছেন বাবা, মা, পরিবারের অন্যান্য সদস্য, স্কুলের সহপাঠী, শিক্ষক-শিক্ষিকা-সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বাবা সুতনুকুমার চন্দ্র, কাটোয়া কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং মা শ্রেয়শ্রী চন্দ্র গৃহবধূ, তবে তাঁর রয়েছে এমসসি এবং বিএড ডিগ্রি। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে পড়তে বসতেন তিনি। ঘড়ির কাঁটায় সময় মেপে পড়াশোনা করার কথা কখনও ভাবেননি শ্রীরাজ।
পাশাপাশি, ন্যাশনাল ট্যালেন্ট সার্চ এগজামিশনের স্কলারশিপ, জগদীশ বোস ন্যাশনাল সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ স্কলারশিপ, কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রস্থান যোজনা-র বিশেষ পরীক্ষার মেধাতালিকায় ৭৮ নম্বরের স্থান গ্রহণের মতো সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও সাফল্যের প্রমাণ রাখলেন শ্রীরাজ। তবে আপাতত পড়াশোনার মধ্যেই রয়েছেন তিনি। ম্যাথ অ্যান্ড কম্পিউটিং, কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং অঙ্কের প্রতি ভালোবাসা থাকায় পরবর্তী কালে গবেষক হিসেবেও জীবনে এগিয়ে যেতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথাও জানিয়ে রেখেছেন তিনি। পছন্দের প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেই পড়াশোনা করতে চান শ্রীরাজ।
অবসরে গান শুনতে ভীষণ ভালোবাসেন শ্রীরাজ। সোনু নিগম এবং অরিজিৎ সিংহ তাঁর পছন্দের শিল্পী। তাঁদের গান শোনার পাশাপাশি ৭০ ও ৮০-র দশকের পুরনো বাংলা গানও শোনেন শ্রীরাজ। বিশেষত, নিজের প্রিয় গান হিসেবে 'গুপি গাইন বাঘা বাইন'-এর গানগুলির কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। পড়াশোনার জন্য আলাদা করে চিন্তায় না কাটিয়ে মন খুলে সব রকম সিনেমাও দেখেছেন এই পড়ুয়া। তাই মেধাতালিকায় নাম আনতে গেলে যে বই-খাতায় মুখ গুঁজে বসে থাকতে হয়, এই ধারণাকে নস্যাৎ করেছেন কাটোয়া জেলার শ্রীরাজ।