Jadavpur Vidyapith School

পড়ুয়াদের মান উন্নয়নে উদ্যোগী যাদবপুর বিদ্যাপীঠ, কী পদক্ষেপ করল তারা?

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আর মাত্র ৭০ দিন বাকি। স্কুলগুলিতে চলছে টেস্ট। বড় পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের মূল্যায়নের পালা এ বার স্কুলগুলিতে। সেখানে যাতে কোনও খামতি না থাকে তাই উদ্যোগী হল যাদবপুর বিদ্যাপীঠ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৩
পড়ুয়াদের খাতা দেখানোর প্রক্রিয়া চলছে।

পড়ুয়াদের খাতা দেখানোর প্রক্রিয়া চলছে। নিজস্ব চিত্র।

এ বছর পড়ুয়াদের মান উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগী হল যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। টেস্টের খাতা দেখানো থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ও মনস্তাত্ত্বিকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আর মাত্র ৭০ দিন বাকি। স্কুলগুলিতে চলছে টেস্ট। বড় পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের মূল্যায়নের পালা এ বার স্কুলগুলিতে। সেখানে যাতে কোনও খামতি না থাকে তাই উদ্যোগী হল যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। টেস্টের ফলাফল প্রকাশের আগেই পড়ুয়াদের পরীক্ষার খাতা দেখাতে উদ্যোগী হলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “এটি একটি অভিনব প্রয়াস আমাদের, ছাত্র-ছাত্রীরা খুব কম সময় পেয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে। পরীক্ষা দেওয়ার পর কেন নম্বর কম পেল, কোথায় আরও ভাল করতে পারত বা কোথায় ভুলভ্রান্তি আছে সেগুলো যাতে শুধরে নিতে পারে তাই এই উদ্যোগ।”

এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭২। স্কুলে মোট বিষয় পড়ানো হয় ২৩টি, স্কুলের টেস্ট শেষ হয়েছে সবেমাত্র। আর মঙ্গলবারই পড়ুয়াদের টেস্টের খাতা দেখানো হয়েছে। শুধু পরীক্ষায় খাতা দেখানো নয়, কেন কম নম্বর পেল, কোন জায়গায় ভুলভ্রান্তি ছিল আর কোথায় ভাল করা যেত এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করা হয়েছে পড়ুয়াদের সঙ্গে।

জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা শম্পা ভট্টাচার্য বলেন, “বড় পরীক্ষায় বসার আগে টেস্ট হচ্ছে মূল্যায়নের অন্যতম জায়গা। খাতা দেখানোর মাধ্যমে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল ভ্রান্তিগুলো যে রকম ধরিয়ে দিতে পারি পাশাপাশি কোন পড়ুয়া কতটা তৈরি হয়েছে সেটাও আমরা জানতে পারি। উচ্চমাধ্যমিকের আগে সবাই যাতে সম্পূর্ণরূপে তৈরি থাকে সেটাই আমাদের মূল উদেশ্য।”

শুধু খাতা দেখানোর মাধ্যমে ভুল সংশোধন করা নয়, পড়ুয়াদের নিয়ে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে ডিসেম্বর ও নতুন বছরের শুরুতেই। সেখানে যে রকম বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হবে পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক দৃঢ়তা ও ভয় দূর করতে মনস্তত্ত্বদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement