Tram Route

ট্রাম তুলে দিতে লাইন ঢাকা হচ্ছে পিচ দিয়ে, অভিযোগ সংগঠনের

কোনও কারণ না দেখিয়ে যে ভাবে রুটটি বন্ধ রাখা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে জোর করে ট্রাম বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে শহরের ট্রামপ্রেমী সংগঠন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৬
কুয়াশা-ভেদী: সকালের ময়দানে যাত্রা। রবিবার ধর্মতলায়।

কুয়াশা-ভেদী: সকালের ময়দানে যাত্রা। রবিবার ধর্মতলায়। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

কলকাতা পুরসভার জলের পাইপ সারানোর কাজের জন্য গত অগস্ট মাসে টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটে ২০ দিনের জন্য ট্রাম পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছিল ট্রাম সংস্থা। কিন্তু ওই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে পাঁচ মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটে পরিষেবা চালু হয়নি। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বালিগঞ্জ স্টেশন, গড়িয়াহাট মোড়, দেশপ্রিয় পার্ক, লেক মল, রাসবিহারী মোড়, বজবজ শাখার রবীন্দ্র সরোবর লাগোয়া টালিগঞ্জ রেল স্টেশন এবং মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশন ছুঁয়ে চলা এই রুটটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কোনও কারণ না দেখিয়ে যে ভাবে রুটটি বন্ধ রাখা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে জোর করে ট্রাম বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে শহরের ট্রামপ্রেমী সংগঠন।

Advertisement

টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুট চালু করা ছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন রুটে ট্রাম ফেরানোর দাবিতে রবিবার টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল কলকাতা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের অভিযোগ, শহরের রাস্তায় ট্রাম ফেরানোর বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য প্রশাসন নানা ভাবে বাধার সৃষ্টি করে কার্যত ট্রাম তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত শহরের রাস্তায় কী ভাবে পরিবেশবান্ধব যান হিসাবে ট্রাম চালানো যায়, তার উপায় খুঁজতে পুরসভা, পুলিশ, পরিবহণ দফতর, পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, এক বছরের বেশি সময় ধরে ওই কমিটির বৈঠক হয়নি।

ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে খিদিরপুর-এসপ্লানেড রুটের ট্রামের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। নানা ‘অছিলায়’ পাঁচ বছর পরেও সেই তার মেরামত করা হয়নি। এমনকি, ওই রাস্তার একাংশ পিচ দিয়ে ঢেকে ট্রাম চলাচলের সম্ভাবনায় ইতি টানার চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ ট্রামপ্রেমী সংগঠনের। তাদের আশঙ্কা, টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটেরও এমন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।

সরকারের পক্ষ থেকে ট্রাম না চালাতে চাওয়ার কথা সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই প্রশাসন জোর করে ট্রাম তুলে দিতে চাইছে।’’

এ দিনের কর্মসূচিতে অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন-সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম ডিপোর জমি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা নিয়েও সরব হন তাঁরা। পরিবহণ নিগম কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, প্রয়োজনীয় অনুমতি পেলে পরিষেবা শুরু করতে তাঁদের আপত্তি নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন