JEE Main 2024

জেইই মেন-এ ৯৯ পার্সেন্টাইলের বেশি নম্বর সৌকর্যর ঝুলিতে, পরের লক্ষ্য জেইই অ্যাডভান্সড

সর্ব ভারতীয় স্তরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) মেন-এ কলকাতায় সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে সৌকর্য ভট্টাচার্য। ভবিষ্যতে মুম্বইয়ের আইআইটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার স্বপ্ন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১০
সৌকর্য ভট্টাচার্য।

সৌকর্য ভট্টাচার্য।

সৌকর্য ভট্টাচার্য! বড় হওয়া আলিপুরদুয়ারে। পরবর্তীতে কলকাতায় ফিরে আসা পড়াশোনার স্বার্থে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন লেখা হচ্ছে সৌকর্যকে নিয়ে?

Advertisement

সর্ব ভারতীয় স্তরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) মেন-এ কলকাতায় নজরকাড়া ফল করেছে সৌকর্য ভট্টাচার্য। ফলাফল অনুযায়ী জেইই মেন-এ সৌকর্য পেয়েছেন ৯৯.৯৯০০০১৮ পারসেন্টাইল।

বাবা পেশায় চিকিৎসক, মা গৃহবধূ। আলিপুরদুয়ার থেকে খুব ছোট বয়সেই কলকাতায় চলে আসেন সৌকর্য তাঁর মা এবং ভাই। প্রথম থেকেই পড়াশোনায় ভাল ফল করেছে সে। খুব ছোট বয়সেই নিজেকে বুঝতে পেরেছিলেন। বরাবরই কম্পিউটারের উপর ঝোঁক সৌকর্যর। ভবিষ্যতে মুম্বইয়ের আইআইটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার স্বপ্ন। এই মুহূর্তে জেইই মেন-র পর প্রধান লক্ষ্য জেইই অ্যাডভান্সডে ভাল ফল করে মুম্বই পাড়ি দেওয়ার।

প্রতিযোগিতা মূলক পরিবেশের মধ্যে পড়াশোনা করার স্বার্থে ছোট বয়সেই ভাই এবং মায়ের সঙ্গে কলকাতায় চলে আসা। দিল্লি পাবলিক স্কুলে (রুবি পার্ক) অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয় সৌকর্য। সেখান থেকেই চলতি বছর দ্বাদশ শ্রেণি পরীক্ষা দিচ্ছেন। পাশাপাশি, ছোট থেকেই বহু প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় বসেছে সৌকর্য। যথারীতি ভালও ফলও করেছে।

সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা, একই সঙ্গে দু’টি পরীক্ষার ভার কী ভাবে সামলাচ্ছে সৌকর্য?

সৌকর্যর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে সারাক্ষণ বই নিয়ে বসে থাকেনি। সারাদিনে পাঁচ থেকে ছ’ঘণ্টা সৌকর্যের পড়াশোনার কোটা। এর মধ্যেই বাজিমাত করেছে কলকাতায় রুবি এলাকার নিবাসী সৌকর্য। ছেলের এমন ফলাফলে সৌকর্য ও তাঁর মাকেই সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল অন্ত প্রাণ সৌকর্য। খেলা দেখা, মাঠে খেলা, ফুটবল সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিষয়কেই খুবই ভালবাসে সে। জেইই মেন পরীক্ষা শেষের পরও বেশ ক’দিন মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলে এসেছে সৌকর্য।

আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতা, এ বার মুম্বই পাড়ি দেওয়ার স্বপ্নের দিয়ে এগিয়ে চলেছেন সৌকর্য। ছেলের এমন ফলাফলে গর্বিত পরিবার। ভবিষ্যতেও ভাল ফলের আশায় রয়েছে সৌকর্য ও তাঁর পরিবার।

Advertisement
আরও পড়ুন