বিয়ের পর ভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন অনেক মহিলা। এই প্রতিবেদন, বাড়িতে বসে কী কী উপায় উপার্জন করতে পারেন, তার সুলুকসন্ধান করা হচ্ছে।
গৃহশিক্ষক হওয়ার সুযোগ থাকে। বিয়ের পর বাড়িতেই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে পারেন। এর ফলে বাইরে যাওয়ার মতো সময়ও অপচয় হবে না, উপার্জনের পথও খুলে যাবে।
বিভিন্ন ভাগে কোচিং করেও পড়াতে পারেন এক জন গৃহশিক্ষক। একেবারে ছোট বয়সের শিশু থেকে বড়দের, নিজের পাঠ্যক্রমের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কোন শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াতে পারবেন, সেটি আগে ঠিক করে নিতে হয়। এর পর সমাজমাধ্যম-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু করতে পারেন পড়ানো।
যদি ভাল রান্না করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ছোট করে খাবারের হোম ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
প্রথমে নিজস্ব এলাকার মধ্যে শুধু মাত্র সকাল বা দুপুরের খাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। এর পর ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়তে শুরু করলে বিভিন্ন ডেলিভারি অ্যাপের সঙ্গে যোগাযোগ করে বড় আকারে হোম ডেলিভারির ব্যবসা করতে পারেন।
এখন অনেকেই পেশা হিসাবে বেছে নিচ্ছেন ‘কনটেন্ট রাইটিং’-কে। বাড়িতে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলে এবং ইংরেজি ভাষায় বা অন্য কোনও ভাষায় ভাল লিখতে পারলে ‘কনটেন্ট রাইটিং’-কে পেশা হিসাবে বেছে নিতে পারেন।
সমাজমাধ্যমে কনটেন্ট রাইটিং সংক্রান্ত বহু সংস্থায় বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য কর্মী নিয়োগ করা হয়। সেই সংস্থাগুলির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে রিক্রুটমেন্টে গিয়ে আবেদন করে শুরু করা যেতে পারে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ।
এখন সমাজমাধ্যমের সাহায্যে বহু মহিলা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেছেন। গয়না, জামাকাপড়, ব্যাগ-সহ বহু জিনিস বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কম্পিউটারে মাল্টিমিডিয়ার কাজ জানা থাকলে ,সেই সংক্রান্ত কাজও ফ্রিল্যান্সার হিসাবে করতে পারেন। গ্র্যাফিক, অ্যানিমেশন, লোগো তৈরি করার মতো কাজের ক্ষেত্রে বহু সংস্থা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কর্মী নিয়োগ করে থাকেন।
কোনও সংস্থায় চাকরির জন্য আবেদন জানানোর আগে, অবশ্যই সেই সংস্থার সব দিক ভাল করে দেখে নিয়েই আবেদন করা ভাল। না হলে বিপদ হতে পারে।
সব ছবি সংগৃহীত।