প্রতীকী চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দেখানো পথে পা বাড়াল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পর্ষদের তরফে একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিকের খাতা দেখার জন্য সরকারি ছুটির দিনগুলিতেও আধিকারিকদের কাজ করতে হবে। তবে, ওই দিনগুলিতে কাজ করার বদলে তাঁরা অন্য যে কোনও দিন ছুটি নিতে পারবেন।
এই প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পর পর গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো হওয়ার কারণে খাতা দেখার সময় অনেকটা কম পাওয়া যাবে। সেই কারণেই সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও পরীক্ষার কাজ সেরে নিতে হচ্ছে। তাই কর্তব্যরত কর্মীদের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অন্য কোনও দিনে ছুটি নেওয়ার জন্য আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই সময়সীমা পর্যন্তই মাধ্যমিক পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ছুটি নিতে পারবেন। তবে স্কুলের পরীক্ষার দিনগুলোয় কোনও আধিকারিক এই ছুটি নিতে পারবেন না।”
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, সরকারি ছুটির দিনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ছুটি পরে চেয়ে নিতে পারবেন। এই নিয়ম আগে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রধান পরীক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত থাকলেও অন্যান্য পরীক্ষক বা নিরীক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল না। চলতি বছর থেকে পরীক্ষায় কর্মরত সমস্ত আধিকারিকদের জন্যই এই ব্যবস্থা চালু করার কথা জানিয়েছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে একই রকম ভাবে ছুটির ব্যবস্থা করার দাবি উঠতে থাকে শিক্ষামহলে। এই মর্মে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (এস টি ই এ)-র তরফে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয় শিক্ষা দফতরে। অবশেষে সোমবার এই আবেদন অনুযায়ী মোট চারটি সরকারি ছুটির দিনে কাজ করার পরিবর্তে আধিকারিকদের অন্য দিন ছুটি দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি সভাপতি গৌতম মহান্তি ও সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ।
পর্ষদের তরফে ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধান পরীক্ষক-সহ কর্তব্যরত সমস্ত আধিকারিককে ছুটির দিনগুলিতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। ওই প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক নথি ছাড়া কোনও আধিকারিকই অন্য দিনে ছুটির জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন না। উল্লিখিত বিষয়ে আবেদনপত্র স্কুলগুলিতে জমা দিতে হবে। ১৮, ২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ৮ মার্চ— এই চারটি সরকারি ছুটির দিনে কাজ করলে, সংশ্লিষ্ট দিনের পরিবর্তে কর্তব্যরত আধিকারিকরা অন্য দিনে ছুটির জন্য দরখাস্ত জমা দিতে পারবেন।