প্রতীকী ছবি।
বাণিজ্য বিভাগে পঠনরত পড়ুয়াদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপ-এর ব্যবস্থায় উদ্যোগী হল সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৩০ ঘন্টার সার্টিফিকেট পাঠক্রম চালু করা হয়েছে মহাবিদ্যালয়ের তরফে।
বর্তমানে সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ে বাণিজ্য বিভাগে জেনারেল ও অনার্স মিলিয়ে ২১০ জন পড়ুয়া পঠনরত। এদের মধ্যে ষষ্ঠ সিমেস্টারে পঠনরত পড়ুয়াদের জন্য এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পাঠক্রমের নাম হল ‘ট্রেনিং ইন কম্পিউটারাইজ অ্যাকাউন্টিং (ট্যালি প্রাইম), ই-ফাইলিং অফ জিএসটি অ্যান্ড ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন অ্যান্ড রিলেটেড স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টার্নশিপ অফ স্টুডেন্টস।’
বাণিজ্য বিভাগের সহকারী শিক্ষক শ্রীকান্ত মালাকার বলেন, “একজন বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক হিসেবে আমার মনে হয়েছে আমরা থিয়োরির উপর নির্ভরশীল। চাকরির ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ কী ভাবে হয় সেটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই পড়ুয়াদের স্বার্থে অ্যাকাডেমিক্স এবং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার পাশাপাশি এই ধরনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”
২০২৩ সালে প্রথম প্রশিক্ষণরত পড়ুয়াদের ৪০ জনের মধ্যে ৩৬ জন শংসাপত্র পেয়েছেন। দু’জন এই প্রশিক্ষণের পর চাকরিও পেয়েছেন। মূলত এই ইন্টার্নশিপ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পড়ুয়াদের কম্পিউটারাইজ অ্যাকাউন্টিং-সহ বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। এর ফলে অনলাইনে কী ভাবে জিএসটিতে নাম নথিভুক্ত করা যায় বা কী ভাবে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা করা যায়— এই ধরনের কিছু প্রক্রিয়া নিয়ে সম্যক ধারণা পাওয়া সম্ভব। এই সার্টিফিকেট পাঠক্রমের পর শুধু চাকরি নয় পড়ুয়ারা নিজের উদ্যোগে ব্যবসাও করতে পারবে বলে দাবি কলেজের।
কলেজের অধ্যক্ষ চন্দনকুমার জানা বলেন, “শুধু স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া নয়, পড়ুয়াদের স্বনির্ভর করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তাই এই ধরনের পাঠক্রম ও ইন্টার্নশিপ-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে এই ধরনের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশির ব্যাপারে উদ্যোগী কলেজ। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে এই প্রশিক্ষণ শুরু করতে পারেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০২২-এর শেষ থেকে পুনরায় এই প্রশিক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুধু ষষ্ঠ সিমেস্টারের পড়ুয়ারাই নয়, বাণিজ্য বিভাগের সমস্ত পড়ুয়া যাতে এই প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশি গ্রহণ করতে পারেন তাই নিয়েউদ্যোগী হয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে পড়ুয়াদের স্বনির্ভর করার জন্য ১৮টি বিভিন্ন কর্মমুখী পাঠক্রম চালু রয়েছে সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ে।