Fashion Designing Course

ফ্যাশন ডিজ়াইনিং-এ স্নাতকোত্তর চালুর পথে রানি বিড়লা গার্লস কলেজে

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজের সংখ্যা ১৫০ এরও বেশি। একটি মাত্র কলেজে এই সম্মানিক পাঠক্রম পড়ানো হয়। ২০০৮ সাল থেকে এই পাঠক্রমটি চালু হলেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে এর পাঠ্যক্রম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৮
বস্ত্র বিপণন সংস্থার প্রতিনিধিরা  ইন্টারভিউ নিচ্ছেন পড়ুয়াদের।

বস্ত্র বিপণন সংস্থার প্রতিনিধিরা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।

ফ্যাশন ডিজ়াইনিং অ্যান্ড অ্যাপারেল ডিজাইন নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চান? কোন বেসরকারি সংস্থা থেকে নয়, রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে? বাংলায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত রানি বিড়লা গার্লস কলেজ এই সুযোগ করে দিয়েছে পড়ুয়াদের। এ বার খালি স্নাতক নয় আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতকোত্তরেও এই পাঠক্রম চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রানি বিড়লা গার্লস কলেজ।

Advertisement

বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজের সংখ্যা ১৫০ এরও বেশি। একটি মাত্র কলেজে এই সম্মানিক পাঠক্রম পড়ানো হয়। ২০০৮ সাল থেকে এই পাঠক্রমটি চালু হলেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে এর পাঠ্যক্রম। সিবিসিএস ও সিসিএফ কারিকুলামে ফ্যাশন ডিজ়াইনিং পাঠ্যক্রমের বহু রদবদল ঘটেছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজিতে (এনআইএফটি) এই পাঠক্রম পড়ানো হয় স্নাতকস্তরে কিন্তু তার খরচ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমটির থেকে অনেক গুণ বেশি। এ ছাড়াও এনআইএফটিতে গার্মেন্ট ডিজ়াইনিং, প্রোডাকশন ও অ্যাকসেসরিস আলাদা করে পড়ানো হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্গত রানি বিড়লা গার্লস কলেজে এর প্রতিটি বিষয় এক সঙ্গে স্নাতকস্তরে পড়ানো হয়ে থাকে।

রানি বিড়লা গার্লস কলেজের অধ্যক্ষা শ্রাবন্তী ভট্টাচার্য বলেন, “ছাত্রীদের এমন একটি পাঠক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা যেটি কর্মসংস্থানের সুযোগও রয়েছে এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত এই বিষয়ে একমাত্র ডিগ্রি কোর্স এটি। এই পাঠক্রমের ফি যে কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠক্রমের থেকে অনেকটাই কম। যার ফলে এই পেশার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বাংলার পড়ুয়াদের।”

চার বছরের স্নাতকস্তরে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টার্নশিপের’ ব্যবস্থা করা হয় কলেজের তরফ থেকে। বিভিন্ন বস্ত্র বিপণন সংস্থাগুলিতে কী ভাবে কাজ হয় তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ছাত্রীদের হাতেকলমে। এই পাঠক্রমে আসন সংখ্যা ২৫। এ ছাড়াও আর‌ও ১০ টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে ‘ইন্ডাস্ট্রি স্পনসর্ড ক্যান্ডিডেট’-দের জন্য। পাশাপাশি টেক্সটাইল টেকনোলজি এবং ভোকেশনাল ডিগ্রি কোর্স করছেন এমন ছাত্রীও তৃতীয় সিমেস্টার থেকে এই ডিগ্রি কোর্সের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।

ফ্যাশন অ্যান্ড অ্যাপারেল ডিজ়াইনিং-এর বিভাগীয় প্রধান সুনন্দা মিত্র রায় বলেন, “মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়া এবং শিল্পমুখী হওয়ার জন্য এই পাঠক্রমের গুরুত্ব বর্তমান সমাজে যথেষ্ট। আগামী দিনের স্নাতকোত্তর চালু হলে এই পাঠক্রমের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।”

পশ্চিমবঙ্গের ৯০ শতাংশ বস্ত্র বিপণন সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে কলেজের এবং প্রত্যেক বছর ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পড়ুয়ার কর্মসংস্থান হয়। বাকি ছাত্রীরা অন্ত্রেপ্রেনিওরশিপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন।

আরও পড়ুন
Advertisement