Teacher

সিটেট প্রস্তুতি নিয়ে চিন্তায়? কোন মন্ত্রে রয়েছে বাজিমাত!

এই পরীক্ষা পাশের পর জাতীয় স্তরের বিদ্যালয়গুলিগতে শিক্ষকতার সুযোগ পান প্রার্থীরা। সিটেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে ভাল করে এই পরীক্ষার খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া দরকার।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১০:৪৬
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সেন্ট্রাল টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (সিটেট) সর্বভারতীয় স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক হওয়ার প্রথম ধাপ। এই পরীক্ষা পাশের পর জাতীয় স্তরের বিদ্যালয়গুলিগতে শিক্ষকতার সুযোগ পান প্রার্থীরা। সিটেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে ভাল করে এই পরীক্ষার খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া দরকার। এই প্রতিবেদনে সিটেট পরীক্ষার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।

সিটেট পরীক্ষা সাধারণত বছরে দু’বার হয়ে থাকে। জুলাই এবং ডিসেম্বর মাসে। এই বছরের ডিসেম্বর মাসের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে সিটেট-এর সরকারি ওয়েবসাইটে। পরীক্ষায় বসার আবেদন ফর্ম ৩১ অক্টোবর ২০২২ থেকে ২৪ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মিলবে ওয়েবসাইটে। টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ নভেম্বর। পরীক্ষা সংঘটিত হবে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে। এক নজরে দেখে নিন, কী ভাবে আবেদন করবেন।

Advertisement

আবেদন প্রক্রিয়া:
https://ctet.nic.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে 'অ্যাপ্লাই সিটেট ২০২২'-এ যেতে হবে। প্রার্থীকে প্রথমে নিজের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করতে হবে। অ্যাপ্লিকেশনে নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি, সই-সহ প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার পর সাবমিট করতে হবে। এর পর আবেদনমূল্য জমা দিলে প্রার্থীর কাছে রেজিস্ট্রেশন নম্বর এসে যাবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর,ফর্মের প্রত্যয়িত নকল করে প্রার্থী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনের জন্য নিজের কাছে রাখতে পারেন। এবং এর পর প্রার্থী রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

আবেদন মূল্য: সাধারণ ও ওবিসি প্রার্থীদের জন্য ১২০০ টাকা উভয় পেপারে। এবং এসটি, এসসি প্রার্থীদের জন্য ৬০০ টাকা উভয় পেপারে। আবেদন করার আগে এক নজরে দেখে নিন কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন সিটেট পরীক্ষায় বসার জন্য।

যোগ্যতা

ভারত, নেপাল, ভূটানের নাগরিক হতে হবে।

ন্যূনতম বয়স ১৭ বছর হতে হবে।

প্রার্থীর বিএড ডিগ্রি থাকতে হবে। বিএসসি বিএড, বিএ এড-সহ স্পেশাল এডুকেশনে বিএড থাকতে হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি

সিটেট পরীক্ষা দু’টি পেপারে হয়। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ানোর জন্য প্রাইমারি টিচার পেপার ১ পরীক্ষা হয়। এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ানোর জন্য এলিমেন্টারি টিচার পেপার ২ পরীক্ষা হয়। উভয় পেপারে নির্ধারিত নম্বর, সময়সীমা একই থাকে। তবে, প্রশ্নপত্র তৈরি হয় ভিন্ন বিষয়ের উপর।

পেপার ১-এ থাকে, শিশুবিকাশ ও শিক্ষাবিদ্যা (বাধ্যতামূলক) বিষয়ে ৩০ নম্বর, দু’টি ভাষা বিষয়ে ৩০ নম্বর করে ৬০ নম্বর, গণিত বিষয়ে ৩০ নম্বর ও পরিবেশবিদ্যা বিষয়ে ৩০ নম্বর। মোট ১৫০ নম্বর থাকে ১৫০টি প্রশ্নে।

পেপার ২-এ থাকে, শিশুবিকাশ ও শিক্ষাবিদ্যা (বাধ্যতামূলক) বিষয়ে ৩০ নম্বর, দু’টি ভাষা বিষয়ে ৩০ নম্বর করে ৬০ নম্বর, গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে৩০ নম্বর করে ৬০ নম্বর। মোট ১৫০ নম্বর থাকে ১৫০টি প্রশ্নে।উভয় পেপার পরীক্ষার সময়সীমা ২ ঘণ্টা। সম্পূর্ণ পরীক্ষা অনলাইনের মাধ্যমে এমসিকিউ প্রক্রিয়ায় হয়।

সিটেট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন পাঠ্যসুচি ভাল ভাবে অধ্যয়ন করা। পরীক্ষায় কী ধরবের প্রশ্ন আসে, সেই সব বিষয় খুঁটিনাটি জেনে রাখা ভাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement