প্রতীকী ছবি
ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রালয়ের অধীনে এটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন বা কেভিএস। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় শিক্ষকতা করতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন, কী পরীক্ষা দিতে হয়, সেই সব খুঁটিনাটি আলোচনা করা হলএই প্রতিবেদনে।
সিটেট পরীক্ষায় পাশ করে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতেও শিক্ষকতা করার সুযোগ থাকে।
প্রবেশিকা পরীক্ষা
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার জন্য প্রার্থীকে সিটেট পাশ করতে হবে। এর পর ঐ প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের তরফের প্রবেশিকাপরীক্ষায় বসতে পারেন। এই পরীক্ষা পাশ করলে মেধার ভিত্তিতে ভারতের যে কোনও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় শিক্ষকতা করার সুযোগ থাকে।
যোগ্যতা ও পরীক্ষার পদ্ধতি
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিভিন্ন যোগ্যতা রয়েছে। নীচে সেগুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
পিজিটি (পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেন্ড টিচার) শিক্ষক: যে কোনও বিভাগে স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বি এড পাশ হতে হবে। আইটি বিষয় ছাড়া। সর্বোচ্চ বয়ঃসীমা ৪০ বছর।
টিজিটি (ট্রেন্ড গ্র্যাজুয়েট টিচার) শিক্ষক: যে কোনও বিভাগে স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। বি এড পাশ হতে হবে। সিটেট পরীক্ষা পাশ করতে হবে। সর্বোচ্চ বয়ঃসীমা ৩৫ বছর।
পিআরটি (প্রাইমারি টিচার) শিক্ষক: প্রাথমিক শিক্ষা ও বিশেষ শিক্ষায় ২বছরের ডিপ্লোমা থাকতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। বি এড পাশ হতে হবে। সর্বোচ্চ বয়ঃসীমা ৩০ বছর।
পরীক্ষা পদ্ধতি:
দুটি পর্যায়ে পরীক্ষা হয়ে থাকে পিজিটি, টিজিটি, পিআরটি বিভাগে। ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয় ১৫০ মিনিট সময়সীমা ধার্য।
লিখিত পরীক্ষার প্রথম ভাগে থাকে ইংরেজি, হিন্দি বিষয়। ১০ নম্বর করে মোট ২০ নম্বর। দ্বিতীয় ভাগে থাকে সাধারণ জ্ঞান ও সাধারণ ঘটনাবলী বিষয়ে ১০ নম্বর, রিসোনিং এবিলিটি বিষয়ে ১০ নম্বর, কম্পিউটার বিষয়ে ১০ নম্বর, শিক্ষাবিদ্যা বিষয় ১০ নম্বর এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৮০ নম্বর থাকে।
লিখিত পরীক্ষায় যে সকল প্রার্থী পাশ করবেন তাঁদের মেধার ভিত্তিতে ইন্টারভিউ-এ ডাকা হয়। ইন্টারভিউতে যদি প্রার্থীরা পাশ করেন তাহলে মেধার ভিত্তিতে নথি যাচাই করার পর ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে বিভাগ অনুয়ায়ী নিয়োগ করা হয়।