প্রতীকী ছবি
এয়ার হোস্টেস বা বিমানসেবিকার পেশা হিসাবে বেছে নিচ্ছেন নতুন প্রজন্মের অনেকেই । এই পেশার চাহিদাও বাড়ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এই প্রতিবেদনে বিমানসেবিকা কী ভাবে হওয়া যায় তা বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
যোগ্যতা:
শিক্ষার্থীকে যে কোনও বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হয়। এ ছাড়াও যদি অ্যাভিয়েশন নিয়ে কেউ স্নাতক হন, তিনিও বিমান সেবিকার পেশা নির্বাচন করতে পারেন।
১৭ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে হতে হয় বয়স।
প্রার্থীর উচ্চতা ৫.২ ইঞ্চি উচ্চতা থাকতে হয়।
চাকরিতে দরখাস্ত করার সময় প্রার্থীকে অবিবাহিত থাকতে হয়।
দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ থাকতে হয়।
প্রার্থীকে সব সময় শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হয়, ও আনন্দদায়ক মনোভাবের সঙ্গে থাকতে হয়।
কোর্স
তিন ধরনের কোর্স করা যায় বিমানসেবিকা হওয়ার জন্য।
সার্টিফিকেট কোর্স: প্রার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পরে এই সংক্রান্ত সার্টিফিকেট কোর্সগুলি করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আলাদা ধরনের কোর্স ফি, বিষয় এবং সময়সীমা থাকে। সব থেকে কম সময়ের কোর্স হল ৩মাসের। তবে, সাধারণত সার্টিফিকেট কোর্স ছয় মাস থেকে এক বছরের হয়।
ডিপ্লোমা কোর্স: দ্বাদশ শ্রেণির পর এয়ারহোস্টেস হতে চাইলে ডিপ্লোমা কোর্স করা যেতে পারে। এ ছাড়াও কিছু পিজি ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে, যেগুলি স্নাতক হওয়ার পরে করা যেতে পারে। ডিপ্লোমা কোর্সের সময়কাল সাধারণত ৬ থেকে ১২মাসের হয়।
ডিগ্রি কোর্স: দ্বাদশ শ্রেণি পাশের পর এই বিষয়ের উপর বি এসসি ডিগ্রি করা যায়। এই কোর্সের সময়সীমা ৩ বছরের হয়। এ ছাড়াও ২ বছরের বিশেষ ডিগ্রি কোর্সও থাকে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারত অনেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখান থেকে এই কোর্সগুলি করতে পারেন প্রার্থীরা। সাধারণত এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের ফি ধার্য থাকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। তবে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান অনুয়ায়ী কোর্স ফি ভিন্ন হয়। এই কোর্সগুলি সম্পূর্ণ হওয়ার পর, প্রতিষ্ঠান থেকেই অনেক সময় বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলিতে চাকরি বা ইন্টার্নশিপ এর ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে, প্রার্থীরা চাইলে নিজেরাও যোগ্যতা ও শূন্যপদের উপর ভিত্তি করে মেধা অনুয়ায়ী বিমান সংস্থাগুলিতে নিযুক্ত হতে পারেন।
দায়িত্ব
এক জন বিমানসেবিকার বিমান উড়ান এবং অবতরণ— দু’টি সময়েই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয়। নীচে দায়িত্বগুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
বিমানে যাত্রীরা যাতে ঠিক মতো উঠতে পারেন, নিজের জায়গায় বসতে পারেন সেইসব কিছু দেখাশোনার দায়িত্বে থাকেন বিমানসেবিকারা।
বিমান উড়ান, অবতরণ এবং মাঝ আকাশে চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি যাত্রীদের বোঝানো।
সঙ্কটময় কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে, সাহসের সঙ্গে যাত্রীদের সামলানো এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।
বিমান চলাকালীন যাত্রীদের খাবার এবং জল পরিবেশন করা।
বিমান চলাকালীন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, প্রয়োজনে সেই যাত্রীকে যথাযথ সাহায্য করা।
বর্তমানে প্রচুর মহিলা বেছে নিচ্ছেন বিমানসেবিকার পেশাকে। দ্বাদশ শ্রেণি পাশের পর এই কোর্সগুলি করে কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। সাধারণত বিমানসেবিকার বেতন হয় প্রায় ৪.২০ এলপিএ থেকে ১৩.১৯ এলপিএ।