মানুষের অসুখে যেমন চিকিৎসকের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তেমনই পশুপাখিরও শারীরিক অসুস্থতায় প্রয়োজন হয় চিকিৎসকের।
এই প্রতিবেদনে পশুপাখির চিকিৎসক বা ভেটেরিনারি চিকিৎসক হওয়ার জন্য কী পড়তে হয়, কী প্রবেশিকা পরীক্ষা রয়েছে, সেই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হল।
ভেটেরিনারি চিকিৎসক হওয়ার জন্য যে কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞান (রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান) বিষয়ে ন্যূনতম ষাট শতাংশ নম্বর নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হয়।
দ্বাদশ শ্রেণি পাশের পর ভেটেরিনারি নিয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি পড়ার জন্য ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্ট (নিট)-এ উত্তীর্ণ হতে হয়।
পশুপালন, পশু-পুষ্টি, ভেটেরিনারি প্যাথলজি, পশু জেনেটিক্স এবং প্রজনন, ভেটেরিনারি মাইক্রোবায়োলজি, ভেটেরিনারি প্যাথলজি বিষয়ে ব্যাচেলর অফ ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজ়বেন্ড্রি (বিভিএসসি) ডিগ্রি পড়া যায়।
ব্যাচেলর অফ ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজ়বেন্ড্রি ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনার সময়কাল সাধারণত ১ বছরের ইন্টার্নশিপ-সহ সাড়ে ৫ বছরের হয়ে থাকে।
কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ভেটেরিনারি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেয়ে থাকেন পশুপাখির চিকিৎসা করার।
কলকাতার বেলগাছিয়ায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যানিম্যাল অ্যান্ড ফিশারি সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় এই বিষয়ে। এই প্রতিষ্ঠানের কল্যাণীতে মূলত স্নাতক স্তর পড়ানো হয়, এবং স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি-র জন্য যেতে হয় বেলগাছিয়ার শাখায়।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারতের আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ে নিয়ে ডিগ্রি করা যায়। ব্যাচলর ডিগ্রি অর্জন করার পর স্নাতকোত্তর, পিএইচডি করারও সুযোগ থাকে।
এই পেশায় চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, চিড়িয়াখানা বা কোনও পশু-চিকিৎসালয়ে নিয়োগের সুযোগ থাকে।
সব ছবি সংগৃহীত।