সংগৃহীত চিত্র।
মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত (ডিএ গেটিং) স্কুলগুলির জন্য সুখবর। দীর্ঘ ছ'মাস ধরে আটকে থাকা ঘোষিত মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। রাজ্যে প্রায় ৪০টির মতো মহার্ঘ ভাতা-প্রাপ্ত স্কুল রয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সরকারি নিয়মানুযায়ী, মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির ক্ষেত্রে এই শতাংশের হার ১০%।
শহরের মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির মধ্যে রয়েছে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। তার অধ্যক্ষ বিভাস সান্যাল বলেন, “ডিএ গেটিং স্কুলগুলি রোপা ২০০৯ অনুযায়ী বেতন পেয়ে থাকে। বকেয়া মহার্ঘভাতা পাওয়ার ফলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা উপকৃত হবেন। কিন্তু এক বছরে দ্বিতীয় বার ঘোষণা করা মহার্ঘভাতাও পেলে আরও বেশি ভাল হত।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন ও মহার্ঘভাতা দেওয়া হয় রোপা ২০১৯ অনুযায়ী। অন্য দিকে, মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির বেতন ও মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয় রোপা ২০০৯ অনুযায়ী। এই নয়া মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হওয়ার পরে ১৪১ শতাংশ থেকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মহার্ঘ ভাতার হার বেড়ে হল ১৫১ শতাংশ।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “অর্থ দফতর থেকে এই অনুমোদন পাওয়ার জন্য আমাদের অনেক বার ছুটতে হয়েছে নবান্নে। ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকেই শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা ১৫১%ডি এ পাবেন। এখনও ১০% বাকি থেকে গেল, যেটা এপ্রিল থেকে পাওয়ার কথা। আশা করি শিক্ষা দফতর খুব তাড়াতাড়ি সেই বকেয়া পাওয়ারও ব্যবস্থা করবে।”
মহার্ঘ ভাতাপ্রাপ্ত স্কুলগুলির জন্য আলাদা করে অনুমোদন নিতে হয় অর্থ দফতরের। এর ফলে জানুয়ারি মাসের মহার্ঘ ভাতা পেলেও এপ্রিল থেকে যে দ্বিতীয় মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার কথা, তা এখনও থমকে রয়েছে।