সংগৃহীত চিত্র।
এ বার গ্রীষ্মের ছুটি দীর্ঘায়িত হয়েছে। ১০ জুন গরমের ছুটি শেষ হওয়ার পর পড়ুয়াদের জন্য স্কুল চালু করা হয়েছে। তবে হাঁসফাঁস গরমের মধ্যে স্কুলের পঠন-পাঠন সুষ্ঠু ভাবে শুরু করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। যেমন অনির্দিষ্ট কালের জন্য হুগলির সমস্ত প্রাথমিক স্কুলগুলিতে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ক্লাস করানো হবে। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে হুগলি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।
তবে নির্বাচন পরবর্তী আবহে কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু জেলার স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তাই সেই সমস্ত স্কুলে পঠন-পাঠন নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি। অনলাইনেই পড়ুয়াদের ক্লাস করাতে হচ্ছে। এই বিষয়ে চেতলা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সত্যবতী নাডকার বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও স্কুলে রয়েছে। সেই কারণে নির্ধারিত সময়ে স্কুলের পঠন-পাঠন শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য পড়ুয়াদের অসুবিধায় পড়তে হবে। আপাতত অনলাইনে ক্লাসই ভরসা। সে ক্ষেত্রে শনিবারগুলিতে অতিরিক্ত ক্লাস করানো হবে।”
হুগলির পাশাপাশি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে ১১ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ক্লাস করানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে শনিবারের পঠন-পাঠনের সময় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চলতি বছরের ২২ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। ওই ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩ জুন। তবে ভোট পরবর্তী গণনার কারণে স্কুলগুলিতে ১০ জুন থেকে পঠন-পাঠন শুরু হওয়ার কথা। যদিও বাস্তবে সেই নির্দেশ অনুসারে সব স্কুলে পড়ুয়ারা হাজির হতে পারল না। সে ক্ষেত্রে কবে স্কুলগুলি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।