সংগৃহীত চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এডুকেশন বিভাগের চার জন পিএইচডি স্কলার ২০২৫ সালের শুরুতে যাচ্ছেন ইওটভস লোরান্ড ইউনিভার্সিটিতে। যা অবস্থিত হাঙ্গেরিতে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের ৯০ বছরের ইতিহাসে, এই প্রথম চার জন স্কলার ‘এরাসমস স্টুডেন্ট ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে’ ১৪ দিনের জন্য হাঙ্গেরিতে যাচ্ছেন। তাঁরা হলেন, গুড়িয়া শর্মা, রোশনি মুখোপাধ্যায়, শুভদীপ মুখোপাধ্যায় এবং অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায়। ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চলবে, দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। এই প্রোগ্রামের খরচ বহন করেছেন ‘এরাসমস ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট মবিলিটি এবং ইএলটিই হাঙ্গেরি।
এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক এবং ইরসমাস প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক কো-অর্ডিনেটর সন্তোষী হালদার বলেন, “ ইতিমধ্যই শিক্ষক আদান-প্রদানের যে কাজ সেটি সম্পূর্ণ হয়েছে। এ বার প্রথম পিএইচডি স্কলার তাঁরা ইএলটিই হাঙ্গেরি যাচ্ছেন। দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অনলাইন ইন্টারভিউ ও প্রশাসনিক স্তরে কথাবার্তার পরেই চারজনকে বাছাই করা হয়েছে।”
এই স্কলাররা ওখানে গিয়ে স্পেশাল এডুকেশন নিয়ে বিভিন্ন কোর্স ও ক্লাসগুলিতে অংশগ্রহণ করবেন। বাংলা ও তথা ভারতবর্ষে স্পেশাল এডুকেশন নিয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা আছে কী ভাবে তাঁদের শিক্ষাদান করা হয়, এই সমস্ত বিষয় আলোচনা হবে। তারা একটি গবেষণা প্রকল্প নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করবেন, এই ১৪ দিনে। কী ধরনের প্রযুক্তি স্পেশাল এডুকেশন গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বা হাঙ্গেরিতেও কী ভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে সে বিষয়েও আলোচনা হবে। সেই আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তীকালে এখানেও কী কী উন্নতি করা যায় তার একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে জানান, সন্তোষী হালদার।
এই প্রোগ্রামের অধীনে গত বছর ডিসেম্বর মাসে হাঙ্গেরি ইএলটিই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দু’জন অধ্যাপক কলকাতায় আলিপুর ক্যাম্পাসে আসেন। এখানে এসে তাঁরা হাতেকলমে শিক্ষার পাশাপাশি কর্মশালার আয়োজন করেন। এ ছাড়াও মিউজিক থেরাপি এবং শারীরিক গতিশীলতার ওপরে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা করান।