সংগৃহীত চিত্র।
বদল আসছে স্কটিশ চার্চের ১৯৪ বছরের প্রথায়। স্কটিশ চার্চ কলিজিয়েট স্কুলে শুরু হতে চলেছে ‘কো-এডুকেশন’। অর্থাৎ এ বার থেকে ছাত্রদের সঙ্গে পড়বে ছাত্রীরাও। ২ মে প্রকাশিত হচ্ছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। এর পরই উত্তর কলকাতার এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলে একাদশ শ্রেণির ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেখানেই ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও ভর্তি হতে পারবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল সূত্রের খবর, ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই ৬৫ থেকে ৭০ জন ছাত্রী আগ্রহ প্রকাশ করে নাম নথিভুক্তকরণ করিয়েছে।
স্কটিশ চার্চ কলিজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ বিভাস সান্যাল বলেন, “অনেকেই বলেছিলেন, মিশনারি স্কুলে কেন মেয়েদের সুযোগ দেওয়া হয় না। তার পর স্কুলের বর্তমান বিশপ পরিতোষ ক্যানিং ঠিক করেন, শিক্ষাব্যবস্থায় মিশনারি পরিষেবা মহিলাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে, আর সেই ভাবনারই বাস্তবায়ন করা হল।”
রেভারেন্ড আলেকজান্ডার ডাফ ১৮৩০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন স্কটিশ চার্চ কলিজিয়েট স্কুল। বৃহস্পতিবার আলেকজান্ডার ডাফের জন্মদিবস। এই দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ‘কো- এডুকেশন’ চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এখন স্কুলে গরমের ছুটি চলছে। ছুটির পর শুরু হবে ক্লাস। স্কটিশ চার্চ কলিজিয়েট স্কুলের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস রয়েছে কেষ্টপুরে, সেখানে অবশ্য ২০১৯ সাল থেকেই ভর্তি হচ্ছে ছাত্রীরা। সেটি দিল্লি বোর্ডের অধীনে। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল এমনিতে চার্চ কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা একটি মিশনারি স্কুল।
এ বছর জানুয়ারি মাসে ডাফ স্ট্রিটে নতুন একটি ক্যাম্পাস তৈরি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে আগে চার্চ পরিচালিত একটি স্কুল ছিল। সেই স্কুলটি ভাল চলছিল না। তার জায়গায় স্কটিশ চার্চ কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রাথমিক এবং প্রাক-প্রাথমিক স্কুল চালু করেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সেখানে ৭০ জন ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২০০ থেকে ১৪০০ মতো। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১২০০। সব মিলিয়ে স্কুলে বর্তমানে শিক্ষক এবং শিক্ষকর্মী রয়েছেন প্রায় ১৫০ জন।
উল্লেখ্য, কো-এডুকেশনের আনুষ্ঠানিক সূচনার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যে নতুন সিমেস্টার পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রম চালু হয়েছে সে বিষয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় স্কুলের তরফ থেকে।