CBSE School

একাধিক ‘ডামি’ স্কুলগুলির অনুমোদন বাতিল করল সিবিএসই বোর্ড

গত ৩ সেপ্টেম্বর দিল্লির ১৬টি এবং রাজস্থানের ৫টি স্কুলে পরিদর্শন করে ওই কমিটি। তারপর বোর্ডের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তার ভিত্তিতে ২১টি স্কুলের অনুমোদন প্রত্যাহার করেছে সিবিএসই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩০

সংগৃহীত চিত্র।

দেশ জুড়ে ২১টি স্কুলের অনুমোদন বাতিল করল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। এই স্কুলগুলিকে ‘ডামি’ স্কুল হিসেবে চিহ্নিত করেছে বোর্ড। এর মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে রয়েছে ১৬টি স্কুল। বাকি পাঁচটি রাজস্থানে।

Advertisement

সিবিএস‌ই বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমস্ত স্কুলগুলিতে কাগজেকলমেই অনুমোদন ছিল। বাকি কোনও নিয়ম বা পড়ুয়া সংখ্যাও ছিল না। অভিযোগ, স্কুলগুলিতে পরিকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। অনুমোদন বাতিলের তালিকায় রয়েছে দিল্লির রাজীবনগর এক্সটেনশনের রাহুল পাবলিক স্কুল, এসজিএন পাবলিক স্কুল, এমডি মেমোরিয়াল পাবলিক স্কুল, পশ্চিম দিল্লির চন্দ্রবিহারের ভারতী বিদ্যা নিকেতন, নারেলার খেমাদেবী পাবলিক স্কুল, দ্য বিবেকানন্দ স্কুল, সুলতান পুরীর পিএম মডেল সেকেন্ডারি স্কুল, উত্তর-পূর্ব দিল্লি খঞ্জলের সিদ্ধার্থ পাবলিক মডেল স্কুল, নাঙ্গলোইয়ের ইউএসএম পাবলিক সেকেন্ডারি হাইস্কুল-সহ একাধিক স্কুল।

এ ছাড়াও দিল্লির ছ’টি স্কুলকে দ্বাদশ থেকে দশম স্তরে নামিয়ে আনা হয়েছে। সূত্রের খবর, সিবিএসই নিয়ন্ত্রণাধীন এই স্কুলগুলির পরিকাঠামো এবং পড়ুয়ার সংখ্যা নিয়ে আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার জন্য একটি পরিদর্শন কমিটি গঠন করেছে সিবিএসই বোর্ড। গত ৩ সেপ্টেম্বর দিল্লির ১৬টি এবং রাজস্থানের ৫টি স্কুলে পরিদর্শন করে ওই কমিটি। তারপর বোর্ডের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তার ভিত্তিতে ২১টি স্কুল থেকে বোর্ডের অনুমোদন প্রত্যাহার করেছে সিবিএসই।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দ্য বিএসএস স্কুলের অধ্যক্ষ সুনীতা সেন বলেন, “কে কী ভাবে স্কুলগুলি পরিচালনা করছেন তা বোর্ড বা কাউন্সিল পর্যবেক্ষণ করলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে। তাতে যে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন তা ছাত্রছাত্রীরা সুষ্ঠু ভাবে পাবে। তাই এই ধরনের পর্যবেক্ষণকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।”

কারণ হিসাবে বোর্ডের তরফ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই স্কুলগুলিতে পড়ুয়া সংখ্যা যথেষ্ট কম, পাশাপাশি পরিকাঠামোগত অভাব রয়েছে। শুধু তাই নয় বিশেষ করে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে বলেও উল্লেখ। অভিযোগ, পড়ুয়া ভর্তি হলেও স্কুলগুলিতে কোন‌ও ক্লাস হত না। নেই কম্পিউটার ল্যাব বা লাইব্রেরি। তা সত্ত্বেও এই স্কুলগুলি সিবিএস‌ই অনুমোদন পেয়ে চলত। শুধু দিল্লি বা রাজস্থান নয়, ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিদর্শন অন্যান্য রাজ্য চালানো হবে বলে সিবিএসসি বোর্ড সূত্রের খবর।

Advertisement
আরও পড়ুন