নিজস্ব চিত্র।
শতবর্ষের উদযাপন চলছে কলকাতার নামজাদা স্কুল দ্য পার্ক ইনস্টিটিউশনে। প্রথম দিনেই শত বৃক্ষরোপণের মধ্যে দিয়ে সামাজিকীকরণের বার্তা দিয়েছিল স্কুল। গত ৫ জানুয়ারি হাজারের বেশি পড়ুয়াকে নিয়ে নজিরবিহীন পদযাত্রা করল পার্ক ইনস্টিটিউশন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘আমাদের এই সুবিশাল র্যালি করার উদ্দেশ্য সাধারণদের মধ্যেও বাংলা মাধ্যম স্কুলের বার্তা তুলে ধরা। আমাদের স্কুলে ম্যাথমেটিক ল্যাবরেটরি থেকে জিম, আবার পড়ুয়াদের ইন্ডোর-আউটডোর খেলার বিশেষ ব্যবস্থা করা রয়েছে। শিশুদের সার্বিক বিকাশের দিকে সব সময়েই বিশেষ নজর দেয় পার্ক ইনস্টিটিউশন।" পাশাপাশি, প্রধান শিক্ষক আগেই জানিয়েছিলেন স্কুল এখন বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম খোলার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে।
পঠনপাঠনের পাশাপাশি স্কাউট-ক্লাসের উপর বিশেষ জোর দেয় পার্ক ইনস্টিটিউশন। তিনটি ভাগে ভাগ করা থাকে এই ক্লাসগুলি। প্রতি শনিবার স্কুল ছুটির পর বিশেষ প্রশিক্ষক মারফত সেই ক্লাস করানো হয়।
কী হয় এই স্কাউট ক্লাসে?
পড়ুয়ারা স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি এক নিয়মের মধ্যে নিজেদের নিয়ে আসতে পারে। নিয়মানুবর্তিতা-শৃঙ্খলার মধ্যে নিজেদেরকে গড়ার এই ক্লাস করলে পরবর্তীতে চাকরি হোক বা অন্য কাজে অগ্রাধিকার পায় পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি ১০০তম বর্ষে পা রেখেছে দ্য পার্ক ইনস্টিটিউশন। তার পরে ৫ তারিখ শততম বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত হয় বিশেষ র্যালি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের পাশাপাশি সামিল হন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী স্বামী শুদ্ধাভবানন্দ-সহ আরও অনেকে। ছ’টি ট্যাবলো, রণপা, ঘোড়ার গাড়ি, সরকারি ঢাকি এবং স্কুলপড়ুয়াদের নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে এই র্যালি কলকাতার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে।
১৯২৬-এর ২ জানুয়ারি। স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখা এক অস্থির সময়ে দাঁড়িয়ে গোটা দেশ। এরই মাঝে শ্যামবাজারে এক গাড়িবারান্দায় তৈরি হয়েছিল দ্য পার্ক ইনস্টিটিউশন। ১০০ বছর আগে স্কুলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন কুলদাপ্রসাদ লাহিড়ী। বর্তমানে সেই ভারই সামলাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা।