Cooch Behar MJN Medical College

‘নকল’ রুখতে নজর, ভাঙচুর হল শৌচাগারে

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ৬ জানুয়ারি থেকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষা শুরু হয়। ও দিন দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম পরীক্ষা ছিল।

Advertisement
নমিতেশ ঘোষ
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৪:২৭
কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ছবি : সংগৃহীত

অন্ধকারে ভাঙচুর হল কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের একটি শৌচাগারে। সোমবার দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় ‘নকল’ রুখতে কড়া অবস্থান নিয়েছিল কলেজ। তার পরেই সন্ধ্যাবেলা কলেজের পরীক্ষা হল সংলগ্ন একটি শৌচাগার ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ, হুমকি প্রথার সঙ্গে যুক্ত কিছু পড়ুয়া দ্বিতীয় বর্ষের কিছু ছাত্রছাত্রীকে নকল করতে উৎসাহ যোগাচ্ছিলেন। তা নিয়ে ব্যবস্থা নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। তার জেরেই শৌচাগার ভাঙচুর কি না দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কোচবিহারএমজেএন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল কুমার মণ্ডল বলেন, “পুলিশে অভিযোগ জানাব। পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ৬ জানুয়ারি থেকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষা শুরু হয়। ও দিন দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম পরীক্ষা ছিল। এর আগে মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। সেখানেই প্রকাশ্যেই টোকাটুকি চলত বলে অভিযোগ। তা নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকেই বিপদের মুখে পড়তে হত। অভিযোগ, এর পিছনে ছিল আরজিকর-কাণ্ডে নাম জড়ানো প্রভাবশালী চিকিৎসক গোষ্ঠী ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠেরা। সে সব মাথায় রেখে এ বার পরীক্ষায় কড়া নজরদারির সিদ্ধান্ত হয়। শুধু কলেজ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও সরাসরি নজরদারি রাখা হয়। পড়ুয়াদের পরীক্ষা হলে ঢোকার সময় ‘চেকিং’ করা হয়। এ ছাড়া গোটা পরীক্ষা সিসিটিভির মাধ্যমে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নজরদারি করা হয়। তাতে সোমবার পাঁচ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে টুকলি করার চেষ্টার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তার মধ্যে চার জন পড়ুয়ার খাতা কেড়ে নিয়ে নতুন করে খাতা দেওয়া হয়। আর এক জন পড়ুয়ার পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিল করা হয়। তা নিয়ে পড়ুয়াদের একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। পরীক্ষার শেষ করে বিকেল নাগাদ সবাই ফিরে যায়। তার পরেই ওই শৌচাগার ভাঙচুর করা হয় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মঙ্গলবারও নকল করার অভিযোগ ওঠে দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে।

অধ্যক্ষের কথায়, “প্রত্যেকে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিতে হবে। কেউ নিয়ম ভেঙে বা অন্য কোনও উপায়ে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি পরীক্ষার দিকে নজর রাখছে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া বলেন, “কড়াকড়ি করে কলেজ ঠিকই করছে। শৌচাগার কারা ভেঙেছে তা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতেই পারে। কিন্তু সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন