হুগলির দুই কৃতি পড়ুয়া। নিজস্ব চিত্র।
২০২৪-এর মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। মেধাতালিকায় এক থেকে দশে জায়গা করে নিয়েছে হুগলির দুই কৃতী। চতুর্থ স্থানে একক ভাবে স্থান পেয়েছে হুগলির কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলের ছাত্র তপোজ্যোতি মণ্ডল। দশম স্থানে ১৫ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ওই জেলারই ইএলআইটি কো-এডুকেশন স্কুলের ছাত্র নীলাঙ্কন মণ্ডল।
তপোজ্যোতি কামারপুকুরের বাসিন্দা। মাধ্যমিকে সে পেয়েছে ৬৯০ (৯৮. ৫৭ শতাংশ)। সংবাদমাধ্যমকে সে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সে চিকিৎসক হতে চায়। পাশাপাশি, তার রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং ভক্তিগীতি চর্চা করতে ভাল লাগে। তপোজ্যোতির মা অদিতি মণ্ডল গৃহবধূ।
তার বাবা তাতালপুর হাই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, ‘‘কামারপুকুর রামকৃষ্ণ প্রাইমারি স্কুলের ক্লাস ওয়ান থেকেই পড়াশোনা করছে তপোজ্যোতি। আশা ছিল ও এক থেকে দশের মধ্যে থাকবে। তাই ও চতুর্থ হওয়াতে আমরা খুশি।’’ তিনি আরও জানান, সাতটি বিষয়েই শিক্ষক থাকলেও, তপজ্যোতির পড়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় ছিল না, যখন ইচ্ছে হত তখনই পড়তে বসত।
একই জেলা থেকে মাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করেছে নীলাঙ্কন মণ্ডল। এ বারের পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৬৮৪ নম্বর (৯৭.৭১ শতাংশ)। পাণ্ডুয়া স্টেশন রোডের বাসিন্দা সে। তার বাবা পার্থসারথি মণ্ডল কালনা শ্রী শ্রী নিগমানন্দ বিদ্যামন্দিরের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক, মা সুজাতা মণ্ডল গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকেই গল্পের বই পড়া এবং গিটার বাজানোর প্রতি আলাদাই ভাললাগা রয়েছে নীলাঙ্কনের। মাধ্যমিকের প্রস্তুতির মাঝেও ওই ভাললাগায় ছেদ পড়েনি।
বাবা পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়ায় তাঁর কাছেই পদার্থবিজ্ঞান পড়ত নীলাঙ্কন। তবে বাংলা বাদে বাকি পাঁচটি বিষয়ের জন্য আলাদা শিক্ষকের কাছে পড়ত সে। মাধ্যমিকের আগে টেস্ট পরীক্ষায় বিশেষ ফলাফল না হওয়ায় স্কুল থেকে ডাক এসেছিল। তার পরই ফাইনাল পরীক্ষার জন্য ভাল ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে সে। পরীক্ষার ফলাফলে খুশি নীলাঙ্কন মহাকাশের রহস্যভেদ করতে আগ্রহী। তাই সে ভবিষ্যতে অ্যাস্ট্রো ফিজ়িক্স নিয়ে পড়তে চায়।