প্রতীকী চিত্র।
২ মে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল ২০২৪-এর মাধ্যমিক ফলাফল। এ বার ৮০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করেছিল ৯,২৩,৬৩৬ জন। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বছর প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৮,৭৬,৬৭৮ জন। এর মধ্যে ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ৩,৯৬,৪৭৬। পরীক্ষায় বসেছে ৩,৯৪,৭০৫। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩,৫২,১৩৯। পাশের হার ৮৯.২১ শতাংশ। ছাত্রীদের নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ৪,৮০,২০২। পরীক্ষা দিয়েছে ৪,৭৭,১৩৪। উত্তীর্ণ হয়েছে ৪,০০,৩৫২ জন। পাশের হার ৮৩.৯০ শতাংশ।
চলতি বছরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭,৬৫,২৫২ জন। এ বছরের পরীক্ষায় ৭টি কম্পালসরি বিষয় এবং ৪৭টি ঐচ্ছিক বিষয় ছিল। পাশের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮৬.৩১ শতাংশ। ২০২৩-এ এই হার ছিল ৮৬.১৫ শতাংশ। প্রথম দশে রয়েছে ৫৭ জন পরীক্ষার্থী। রইল সবিস্তার মেধাতালিকা।
প্রথম হয়েছে চন্দ্রচূড় সেন। স্কুলের নাম: রামভোলা হাই স্কুল, জেলা: কোচবিহার। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯৩ (৯৯ শতাংশ)।
দ্বিতীয় সাম্যপ্রিয় গুরু। স্কুলের নাম: পুরুলিয়া জেলা স্কুল, জেলা পুরুলিয়া। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯২ ( ৯৮.৯৬ শতাংশ)।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৩ জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ, বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা বাঁশুরি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্র নৈর্ঋতরঞ্জন পালের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১ (৯৮.৭১ শতাংশ)।
চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে হুগলির কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপস স্কুলের ছাত্র তপোজ্যোতি মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০ (৯৮. ৫৭ শতাংশ)।
পঞ্চম স্থানাধিকারী হল পূর্ব বর্ধমানের পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাই স্কুলের ছাত্র অর্ঘ্যদীপ বসাক। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯ (৯৮.৪৩ শতাংশ)।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চার জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের ছাত্র কৃশানু সাহা, মালদহের মোজামপুর হাই স্কুলের ছাত্র মহম্মদ শাহাবুদ্দিন আলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র কৌস্তভ সাহু, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্র অলিভ গায়েনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮ (৯৮.২৯ শতাংশ)।
সপ্তম স্থানে সাত জন পরীক্ষার্থীর নাম প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তিন জন পরীক্ষার্থী। বালুরঘাট গার্লস হাই স্কুলের আবৃত্তি ঘটক এবং অর্পিতা ঘোষ, বালুরঘাট হাই স্কুলের সাত্বত দে পেয়েছে ৬৮৭ (৯৮.১৭ শতাংশ)। এ ছাড়াও বীরভূমের সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দিরের ছাত্র আরত্রিক সাউ, পূর্ব মেদিনীপুরের জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ছাত্র সুপম কুমার রায়, বিবেকানন্দ আশ্রম শিক্ষায়তনের ছাত্র কৌস্তভ মাল, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র আলেখ্য মাইতিও সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
অষ্টম স্থান অর্জন করেছে চার জন পরীক্ষার্থী। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের ছাত্র দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলের ছাত্রী তনুকা পাল, নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র হৃদি মল্লিক। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬ (৯৮ শতাংশ)।
নবম স্থানাধিকারীর সংখ্যা ১৫। পূর্ব মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ শিক্ষামন্দির হাই স্কুলের সায়ক শাসমল, সাগর জানা, বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম শিক্ষায়তনের ছাত্র সাগ্নিক ঘটক, নদিয়ার চাকদহ রামলাল অ্যাকাডেমির ছাত্র জিষ্ণু দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র ঋতব্রত নাথ, ঋত্বিক দত্ত, সারদা বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ছাত্র সায়নদীপ মান্না, শ্যামপুর হাই স্কুলের ছাত্র অরণ্যদেব বর্মণ, দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাট হাই স্কুলের ছাত্র রৌণক ঘোষ, বাউল পরমেশ্বর হাই স্কুলের ছাত্রী অস্মিতা চক্রবর্তী, মালদহের মোজামপুর হাই স্কুলের ছাত্র বিশালচন্দ্র মণ্ডল এবং আমিনুল ইসলাম, বীরভূমের সাঁইথিয়া টাউন হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রদীপ দাস, বাঁকুড়ার বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী অরুণিমা চট্টোপাধ্যায়, ঝাড়গ্রামের রাণী বিনোদ মঞ্জরী গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী অন্বেষা ঘোষ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ধৃতিমান পালের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫ (৯৭.৮৬ শতাংশ)।
দশম স্থানে রয়েছে ১৭ জন পরীক্ষার্থী। মেধাতালিকায় রয়েছে কলকাতার কমলা গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সোমদত্তা সামন্ত, উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম স্কুলের ছাত্র প্রাঞ্জল গঙ্গোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্রী স্বর্নালী ঘোষ, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী ভূমি সরকার, মালদহের মোজামপুর হাই স্কুলের ছাত্র বিশাল মণ্ডল, বাকুঁড়ার বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সৌভিক দত্ত, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কাশীরামদাস ইনস্টিটিউটের ছাত্র অনীশ কোনার, পূর্ব বর্ধমানেরর পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাই স্কুলের ছাত্র অর্ণব বিশ্বাস, পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সম্পূর্ণা নাথ, হুগলির ইএলআইটি কো-এডুকেশন স্কুলের ছাত্র নীলাঙ্কন মণ্ডল, বাঁকুড়ার তালডাংরা ফুলমতি হাই স্কুলের ছাত্রী সৌমিক খান, গড় রায়পুর হাই স্কুলের ছাত্র সৌমদীপ মণ্ডল, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্র অগ্নিভ পাত্র, পূর্ব মেদিনীপুরের কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউশনের ছাত্র সম্পদ পারিয়া, ঋতম দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রকান্তি জানা, সারদা বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ইশান বিশ্বাস। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪ (৯৭.৭১ শতাংশ)।