বিধাননগর কলেজ। নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় ও রাজ্য শিক্ষানীতিতে সাইবার সিকিউরিটি ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের পাঠক্রম এ বার বাধ্যতামূলক পড়ুয়াদের জন্য। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ এই ধরনের পাঠক্রম না থাকার জন্য বিপাকে পড়েছে। শিক্ষার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কলেজগুলি শিক্ষক আদান-প্রদানের জন্য মউ স্বাক্ষর করছে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় সাইবার সিকিউরিটি ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা এবং গুরুত্ব দু’টিই বৃদ্ধি পেয়েছে। নয়া শিক্ষানীতিতে ছ’য় ধরনের বিভিন্ন পাঠক্রম ভাগ করা হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে ভ্যালু অ্যাডেট কোর্স বা ‘ভ্যাক’। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, যা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিধাননগর সরকারি কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে মোট ২২টি বিষয় পড়ানো হলেও নেই কম্পিউটার লিটারেসির কোন বিভাগ। এ বার কলেজের তরফ থেকে এই বিষয়ে ‘ভ্যাক’ পাঠক্রম চালু করার জন্য বেথুন কলেজ ও সিঙ্গুর কলেজের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করা হয়েছে।
বিধাননগর কলেজের অধ্যক্ষ সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থার এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক আদান-প্রদান করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আমরাও সেই পথেই ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছি।”
৪৫ ঘণ্টার ‘ভ্যাক’ পাঠক্রম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে দ্বিতীয় সেমেস্টারের জন্য। সমস্ত পড়ুয়াদের এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। সপ্তাহে দু’দিন ধার্য করা হয়েছে এই পাঠক্রমের জন্য। আগামী বছর জানুয়ারি মাস থেকে দ্বিতীয় সেমেস্টারের ক্লাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মউ অনুযায়ী বেথুন কলেজের সাইবার সিকিউরিটি ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের শিক্ষক যাবেন বিধান নগর কলেজে। এবং তাঁর বদলে বিধান নগর কলেজের কাছ থেকে নৃতত্ত্ব বিষয় পড়ানোর জন্য শিক্ষক চাওয়া হয়েছে। কারণ বেথুন কলেজে স্নাতকোত্তরে মনোবিদ্যার বিষয়ের মধ্যে নৃতত্ত্ব পড়ানো হয়। একই ভাবে সিঙ্গুর কলেজও যাতে শিক্ষক আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিধান নগর কলেজের নৃতত্ত্ব মিউজিয়াম ব্যবহার করতে পারেন তার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।