হেনরিকইবসেনেরঅ্যানএনিমিঅবদ্যপিপলনাটকঅবলম্বনেসত্যজিৎরায়তৈরিকরেনতাঁরবিশ্ববিখ্যাতগণশত্রুচলচ্চিত্র (ছবিতেএকটিদৃশ্য)।সেইছবিপ্রকাশহয়১৯৯০সালে।ঠিকতারত্রিশবছরপরএলএমনএকরোগ, যাবিশ্বকেকাঁপিয়েদিল— কোভিড-১৯।বিশেষজ্ঞরাসতর্ককরাসত্ত্বেওকেনসচেতনহলামনাআমরা?
হেনরিকইবসেনেরনাটকবাসত্যজিৎরায়েরচলচ্চিত্র, দুটোইএকটাগল্পবলতেচেয়েছে— একজনসচেতনডাক্তারেরঅক্লান্তপরিশ্রমঅসচেতননাগরিকদেরবার্তাদেওয়ারজন্য।তবেনাগরিকরারাজনৈতিকএবংধর্মীয়ভাবেপ্রভাবিতহয়েবিজ্ঞানেরউপরভরসাছেড়েদেন, বাবোঝারচেষ্টাকরেননা।এইগল্পেরবাস্তবিকদিকটাআমরাআজঅতিমারিরসময়বেশঅনুভবকরতেপারছি।বিশ্বসবসময়ধর্মকেআগেরেখেবিজ্ঞানকেদমিয়েদিতেচেয়েছে।গালিলেওরসঙ্গেযেঅমানবিকব্যবহারক্যাথলিকচার্চকরেছিল, তারতুলনামেলাভার।বিস্ময়লাগে, আমরাএইআধুনিকযুগেওবস্তাপচাধারণাগুলোকেজাগিয়েরাখি।কুম্ভমেলা, গঙ্গাসাগরমেলা, বড়দিন— এইসবসমাবেশেযেকীহচ্ছে, তাআমরাজেনেওনা-জানারভানকরি।আরঠিকসেইসময়উদয়ঘটে ‘গণশত্রু’-দের।তাঁরাসেইসবনাগরিক, ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ, লেখক, যাঁরাজনগণকেসচেতনকরতেচান; যাঁরাচানযেঅতিমারিরমতোকোনওধ্বংসাত্মকরোগএইপৃথিবীরবুকেকোনওদিনযেননাআসে।তাঁরাচান, মানুষযেনধর্মেরপাশাপাশিবিজ্ঞানকেওগুরুত্বদেন।জনপ্রতিনিধিযাঁরা, তাঁরাযেননিজেদেরস্বার্থছেড়েমানুষেরপ্রতিএকটুসহানুভূতিদেখান।
২০১৩সালেড্যানব্রাউনেরউপন্যাসইনফার্নোপ্রকাশিতহয়, যেখানেলেখকএকটিকাল্পনিকপ্লেগেরকথাবলেছেন।সেইসময়আমরাঅবজ্ঞাকরেছিলামআসলবার্তাকে— যদিসত্যিএইহারেজনসংখ্যাবাড়ে, তাহলেএকটিমহামারিরআগমনঅবশ্যম্ভাবী।হেনরিকইবসেনওসেইবার্তাইদিতেচেয়েছিলেনতাঁরনাটকে।তিনিসেইরকমইএক ‘গণশত্রু’-রকথাবলেছেন, যিনিমানুষকেসচেতনকরতেচান।অথচ, মানুষধর্মআররাজনীতিবিদরারাজনীতিদিয়েতাঁকেদমিয়েদিতেচাইলেন।তবেসেইপ্রচেষ্টাসফলহলনা।কিছুমানুষতাঁরদিকেসাহায্যেরহাতবাড়িয়েদেন।আমাদেরওকিন্তুআজখেয়ালরাখতেহবে— কীবলছেনবিজ্ঞানীআরবিশেষজ্ঞরা।রাজনীতিতাঁদেরদমিয়েদিচ্ছেনাতো?
শ্রেয়ানকুমারমিশ্র
কলকাতা-৫০
স্তব্ধকণ্ঠ
শাঁওলীমিত্রকেনিয়েজয়গোস্বামীর ‘পঁচিশবছরেরএকটিমেয়েএসেসকলেরনজরকেড়েনিল’ এবংদেবশঙ্করহালদারের ‘হাতধরেযেনটেনেনিয়েযাচ্ছেনমঞ্চে’ (আনন্দপ্লাস, ১৮-১) শীর্ষকদু’টিস্মৃতিচারণেদু’টিগুরুত্বপূর্ণবিষয়অনুল্লিখিতথেকেগেল।
প্রথমতরবীন্দ্রনাথ।পশ্চিমবঙ্গসরকারেরপক্ষথেকে১৯৬১সালেকবিরজন্মশতবার্ষিকীতেএবং১৯৮০সালেকবিরজন্মেরএকশোকুড়িবছরউপলক্ষে ‘রবীন্দ্ররচনাবলী’ প্রকাশিতহয়েছিল।রবীন্দ্রনাথেরসার্ধশতবর্ষউপলক্ষে২০১১সালথেকেকয়েকবছরধরেসরকারিউদ্যোগেতৃতীয়বারযে ‘রবীন্দ্ররচনাবলী’ প্রকাশিতহয়েছে, তারপ্রধানসম্পাদকছিলেনশাঁওলীমিত্র।সম্পাদকমণ্ডলীরপক্ষথেকেতাঁরলেখাপ্রতিটিখণ্ডেরনিবেদনঅংশপড়লেইবোঝাযায়, রবীন্দ্রসাহিত্যেতাঁরকীঅসাধারণব্যুৎপত্তিছিল।পশ্চিমবঙ্গবাংলাআকাদেমিরসার্ধশতবর্ষসংস্করণেররবীন্দ্র-রচনাবলীবাঙালিরসারস্বতচর্চায়স্থায়ীসম্পদহিসাবেথেকেযাবে, যারনির্মাণেশাঁওলীরভূমিকাঅনস্বীকার্য।অনেকবছরইঅসুস্থতারজন্যমঞ্চেঅভিনয়করতেপারতেননা।২০০৭সালেনন্দীগ্রামকাণ্ডেরপ্রতিবাদেধর্মতলায়মেট্রোচ্যানেলেঅনুষ্ঠিতএকসভায়তাঁরকণ্ঠেরক্তকরবীওডাকঘরনাটকেরনির্বাচিতঅংশেরপাঠশোনারসৌভাগ্যহয়েছিল।বাচিকঅভিনয়ক্ষমতারমুনশিয়ানায়সকলশ্রোতারমনছুঁয়েছিলেন।এতবছরপরওরবীন্দ্ররচনাযেশাসকেরঅনাচারেরবিরুদ্ধেপ্রতিবাদেরভাষাহতেপারে, তাতাঁরমেধাবীবাচিকঅভিনয়দিয়েবুঝিয়েছিলেন।পিতাশ্রীশম্ভুমিত্রেরসার্থকরবীন্দ্রনাটকমঞ্চায়নেরপরম্পরায়তিনিছিলেনসফলওযোগ্যউত্তরসূরি।
দ্বিতীয়ত, ইচ্ছাপত্র।রবীন্দ্রনাথেরমৃত্যুরপরথেকেবিশিষ্টজনদেরশবদেহনিয়েবাঙালিরযেআদেখলাপনারপরম্পরাতৈরিহয়েছে, শাঁওলীরমৃত্যু-পূর্বইচ্ছাপত্রটিতারনীরবপ্রতিবাদ।তিনিলিখেছেন, “মৃত্যুরপরেযতদ্রুতসম্ভবআমারসৎকারযেনসম্পন্নকরাহয়।ফুলভারেরকোনপ্রয়োজননেই।” এইচিৎকৃতপ্রচারসর্বস্বতারযুগেএমননীরবওশালীনবিদায়শাঁওলীরজীবনদর্শনেরইপ্রকাশ।আরআমাদেরজন্যশিক্ষা।
কথাঅমৃতসমানএবংনাথবতীঅনাথবৎনাটকেররেকর্ডেবাঅসংখ্যবেতারনাটকেতাঁরঅননুকরণীয়কণ্ঠআগামীদিনেওবাঙালিকেবিস্মিতকরবে।পরবর্তীপ্রজন্মেরঅভিনেতাদেরকাছেনিঃসন্দেহেশিক্ষণীয়হয়েথাকবে।
কৌশিকচিনা
মুন্সিরহাট, হাওড়া
দেরিতেসম্মান
জীবনেরঅন্তিমমুহূর্তেএসেনারায়ণদেবনাথসেরারশিরোপাযখনহাতেপেলেন, তখনঅনেকটাইদেরিহয়েগিয়েছিল।যদিওতিনিএসবেরউপরবেশিনির্ভরকরলেঅমোঘসৃষ্টিগুলিবেরিয়েআসতনা।গতবছরনারায়ণদেবনাথপদ্মশ্রীসম্মানেভূষিতহলেওশারীরিকঅসুস্থতাওলকডাউনেরজন্যসেটাহাতেপেলেনতাঁরঅন্তিমমুহূর্তে।কিছুদিনআগেমাননীয়রাজ্যপালশিল্পীরস্বাস্থ্যেরখোঁজখবরনিতেতাঁরবাসভবনেগেলেএইবিষয়টিসম্পর্কেওয়াকিবহালহনএবংসেইমর্মেতিনিখবরদিলেনবান্নেরতরফেওস্রষ্টারপ্রাপ্যসম্মানতাঁরহাতঅবধিপৌঁছতেসরকারিউদ্যোগকরাহয়।অথচ, এইসম্মানতাঁরহাতেঅনেকআগেইআসাউচিতছিল।কিন্তুসেইমুহূর্তেকেন্দ্রেরতরফেকোনওপদক্ষেপনাকরাআক্ষেপের।তবেএখানেশিল্পীউচ্চতরশিল্পীসত্তারছাপরেখেগিয়েছেন।তিনিনিজেকখনওসর্বোচ্চসম্মানহাতেএসেনাপৌঁছনোরবিরুদ্ধেসরবহননি।
তবেএ-ওঠিক, তিনিজীবিতকালেওপ্রাপ্যসম্মানকখনওঠিকমতোপেলেননা।প্রচারেরআলোয়আজকালকতনব্যশিল্পীআসেন, অথচএমনএকউদারমনেরশিল্পীকেপ্রচারেরআলোয়সেভাবেআনাহলনা।তাঁরকোমলমনেরঅন্তরালথেকেহাঁদা-ভোঁদা, বাঁটুলদিগ্রেটেরমতোকতকমিকসচরিত্রকেতুলেএনেছেন, তাদেরকীর্তিকলাপেরমাধ্যমেসামাজিকবার্তাদিয়েছেন, মানুষেরমধ্যেঅকৃত্রিমসুখবিলিয়েছেন।এমনশিল্পীভারতেরগর্ব।বর্তমানপ্রজন্মস্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, টমঅ্যান্ডজেরি— এমনবিদেশিকমিকসচরিত্রগুলিরমধ্যেবুঁদহয়েগিয়েছে।অথচ, আমাদেরদেশেওযেএকজনএমনস্রষ্টারয়েছেন, সেটাইতারাবোধহয়চিনেউঠতেপারলনা।
শুভজিৎবসাক
কলকাতা-৫০
অপ্রকাশিত
তমালবন্দ্যোপাধ্যায়েরলেখায়চার্লসস্টুয়ার্টেরকথাপড়লাম (‘জনৈকসাহেব-হিন্দুরকাহিনি’, রবিবাসরীয়, ১২-১২)।তিনিখেদপ্রকাশকরেছেন, চার্লসস্টুয়ার্টকেনিয়েকোনওউপন্যাসবাংলাভাষায়লেখাহয়নি।প্রসঙ্গত, আমাদেরবাবা, স্বর্গতফণীন্দ্রনাথদাশগুপ্তচার্লসস্টুয়ার্টকেনিয়েএকটিউপন্যাসলিখেছিলেন, যেটিএখনওঅপ্রকাশিত।বাবাঅনেকছোটগল্প, উপন্যাসওনাটকলিখেছিলেন, যেগুলিপঞ্চাশওষাটেরদশকেমোহনলাইব্রেরি, আনন্দপাবলিশার্স, এমসিসরকারপ্রভৃতিথেকেপ্রকাশিতহয়েছিল।বাবারমৃত্যুরপরআমরাচার্লসস্টুয়ার্টকেনিয়েলেখাটিখুঁজেপাই।মনেহয়তিনিঅনেকদিনআগেইএটিরচনাকরেছিলেন।উপন্যাসটিপ্রকাশকরতেপারলেআমরাখুবশান্তিপেতাম।
পূরবীওকরবী
কলকাতা-৪৭