Mahua Moitra

সে যেখানে লড়ে যায়!

ঈষৎ স্বাধীনতা নিয়ে বললে, জাতীয় রাজনীতিতে আপাতত মোদী-বিরোধিতার অন্যতম ‘ম্যাসকট’ হয়ে দাঁড়ানো। এতটা কি মাউন্ট হলিওকের প্রাক্তন ছাত্রী এবং জেপি মর্গ্যানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজেও ভেবেছিলেন?

Advertisement
অনিন্দ্য জানা
অনিন্দ্য জানা
শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০০
Expulsion of TMC MP Mahua Moitra from Lok Sabha & the future of her political career

মূল ছবি: পিটিআই। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

দুপুরেই লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ যখন তিনি ফোনটা রিসিভ করলেন, ‘হ্যালো’র বদলে ও পার থেকে কিছু আপাত-দুর্বোধ্য শব্দ ভেসে এল!

Advertisement

বোঝা গেল, ফোন চালু আছে। কিন্তু তিনি সম্ভবত সেটা বুঝতে পারেননি। এ সব ক্ষেত্রে ধূর্ত, চতুর এবং সুযোগসন্ধানী সাংবাদিকের ম্যানুয়্যাল বলে, হুঁ-হুঁ বাওয়া, রহস্যের গন্ধ। ফোনটা কেটো না। বরং কানটা আরও সজাগ রাখো। যদি উল্টো দিকের অনবধানতাবশত পড়ে-পাওয়া দু’পয়সার (বিজ্ঞজনেরা বুঝবেন, কেন ১৪ আনার বদলে দু’পয়সা লিখলাম) মতো এমন কিছু কথা কানে চলে আসে, যা আসার কথা নয়!

কিন্তু কোথায় কী! কিছু পরে তিনিই স্বেচ্ছায় মর্মোদ্ধার করলেন টুকরো টুকরো ভেসে-আসা উদ্ভট সাঙ্কেতিক শব্দের, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে যাব তো! প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম।’’ বোঝা গেল, আইনের ধারা-টারা নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। আর তাতে লুকোছাপার কী আছে?

মহুয়া মৈত্র এমনই। বেশি রহস্য-টহস্য তাঁর ধাতে নেই। তিনি যা বলবেন, মুখের উপর বলবেন। হাউমাউ, কাউ-কাউ করে বলবেন। কে কী ভাবল না-ভাবল, কী বলল না-বলল, তাতে তাঁর ভারী বয়েই গিয়েছে! দুনিয়া গোল্লায় যাক, তিনি বেঢপ সাইজ়ের সানগ্লাস পরবেন। মনে হলে মেঘলা দিনেও পরবেন। ধাতব ওয়াটার বট্‌লে সর্বত্র ঈষদুষ্ণ পানীয় জল বহন করবেন। লোকসভার যে কমিটির বৈঠকে তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফালাফালা করা হবে, সেখানেও তিন-তিনটি ভ্যানিটি ব্যাগ (একটিতে ব্যক্তিগত ব্যবহারের সামগ্রী, অন্যটিতে দুপুরের খাবার এবং তৃতীয়টিতে ল্যাপটপ। রসিক হিন্দিজন দারুণ অনুবাদ করেছিলেন ভ্যানিটি ব্যাগের— ফুটানি কা ডিব্বা) দুলিয়ে ঢুকবেন। সেখান থেকে বিক্ষোভ দেখিয়ে ওয়াক আউট করার পরে পরিচিত সাংবাদিক যদি গলায় সহানুভূতি ঢেলে প্রশ্ন করেন, খুব হেনস্থা করল? আপনার চোখে জল নাকি? তিনি দু’আঙুলে চোখের তলার চামড়ার পরত টেনে নামিয়ে ডাক্তারকে চোখ দেখানোর মতো করে ড্যাবডেবিয়ে তাকিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করবেন, ‘‘এটা কী? মনে হচ্ছে আমার চোখে জল? মনে হচ্ছে? অ্যাঁ?’’

টেলিভিশনের বিতর্কে বসে প্রতিপক্ষকে অবলীলায় মধ্যমা দেখাবেন। ললিত লবঙ্গলতিকার পিন্ডি চটকে শাড়ি খানিক গুটিয়ে স্নিকার্স-পরা পায়ে ফুটবলে লাথি মারবেন। সাক্ষাৎকার দিতে বসে উল্টো দিকের সাংবাদিককে প্রায় কথাই বলতে দেবেন না (সাংবাদিকের তাতে বিশেষ আপত্তিও থাকবে না অবশ্য। কারণ, তিনি প্রায় বিনা আয়াসে দুর্দান্ত সব হেডলাইন পাবেন)। যে সমাজে মহিলাদের প্রকাশ্যে নিজের বয়স বলা প্রায় অশ্রুতপূর্ব, সেই ফিসফিসে কুঞ্জে দাঁড়িয়ে গোটা দেশের ক্যামেরার সামনে নিষ্কুণ্ঠ কণ্ঠে বলবেন, ‘‘আমি এখন ঊনপঞ্চাশ! আরও ৩০ বছর লড়ব!’’

তাঁকে নিয়ে গোটা দেশ যখন উত্তাল, তখন আনন্দবাজার অনলাইনের পরিচিত সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন ডেনিমের ট্রাউজ়ার্স, কটকটে বেগনি রঙের সিল্কের শার্ট আর পায়ে লোফার্স পরে। চতুষ্পার্শ্বের অনুচ্চস্বর এবং গুঞ্জন সম্পর্কে সম্পূর্ণ বাহ্যজ্ঞানরহিত হয়ে ৬ নম্বর প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নিবিষ্টমনে মোবাইল দেখবেন। তার কিছু ক্ষণ পরে ব্যক্তিগত নৈশভোজে বসে বলবেন, ‘‘আপনি যদি নিজের লড়াইটা নিজের বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে লড়েন, তা হলে কেউ না কেউ ঠিক আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। এটা আমার লড়াই। আমি ঠিক লড়ে নেব!’’

লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর যখন মহুয়া (চোখে ঢাউস সানগ্লাস, কপালে লাল টিপ, পরনে মানানসই শাড়ি) ধীর পদক্ষেপে বাইরে বেরিয়ে আসছেন, মনে হচ্ছিল, ঠিকই বলেছিলেন। নিজের লড়াই লড়লে লোক ঠিক জুটে যায়। তাঁর সঙ্গে একই ফ্রেমে দেশের অন্যতম ক্ষমতাশালী পরিবারের দুই সদস্য। সেই সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর পাশে পাশে হাঁটছেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সতীর্থদের যে অংশ এই সে দিনও জনান্তিকে মহুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে ফুটপাথে টিয়াপাখি নিয়ে-বসা গণৎকারের মতো বিজ্ঞ মন্তব্য করছিলেন, তাঁরাও সব জুলজুল করে দেখছেন। আর নয়াদিল্লি থেকে অনেক দূরে এক পাহাড়ের (পট)ভূমিকায় দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের অবিসংবাদী অভিজ্ঞান এক মহিলা বলছেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তে আমি স্তম্ভিত! আমি দুঃখিত! আমি মহুয়ার পাশে আছি।’’ মহুয়া কি লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাবেন? জবাবে তৃণমূলের সর্বময় নেত্রীর বরাভয় ভেসে এল, ‘‘না পাওয়ার তো কোনও কারণ দেখছি না। আর ওকে তো কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও করে দিয়েছে দল।’’ রসিকতা করে এক তৃণমূল নেতা রাতে বলছিলেন, ঠিকই বলছিলেন, ‘‘দিদি কৃষ্ণনগরের প্রার্থীর নামটাই প্রথম ঘোষণা করলেন।’’

গত অক্টোবর থেকে মহুয়ার ব্যক্তিগত জীবন (এক হাতে ওয়াইন গ্লাস এবং অন্য হাতের আঙুলের ফাঁকে ধূমায়িত সিগার), তাঁর পুরনো সম্পর্ক (পোষ্যকে নিয়ে প্রাক্তন বান্ধবের সঙ্গে থানাপুলিশ, আইন-আদালত), তাঁর যাপন (দুবাইস্থিত ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি তাকে কী কী উপহার দিয়েছেন, তাঁর নয়াদিল্লির বাড়ি কে সাজিয়ে-গুছিয়ে দিয়েছেন) সারা দেশের খাদ্য হয়ে গিয়েছে। শত্রু-মিত্র সকলে তাঁর এপিটাফ লিখে ফেলেছেন। হিতৈষীরা ইতস্তত করেছেন প্রকাশ্যে তাঁর হয়ে গলা তুলতে। দল খানিকটা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ মূলক নিরাপদ এবং নিরিমিষ্যি অবস্থানে রয়েছে। বিজেপি অহরহ কামান দাগছে। তাঁকে কার্যত দেশদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে সাংসদের লগ-ইন, পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগ-সহ বিভিন্ন ‘গোলমাল’ নিয়ে সিবিআইকে চিঠি লেখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রাথমিক অনুসন্ধান (‘তদন্ত’ নয়, ‘অনুসন্ধান’) শুরু করেছে। তাঁর আগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের বয়ান সংগ্রহ করছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। সেখানে বিতণ্ডা হচ্ছে। বাদ-প্রতিবাদ হচ্ছে। সওয়াল-জবাব হচ্ছে। কিন্তু তার নির্যাস একটিই— মহুয়া মৈত্রকে সেঁকে দিতে হবে।

স্যাঁকা?? সে তো তা-ও সহনীয়। টোস্টারের বল্গাহীন গনগনে আঁচে পুড়ে-যাওয়া পাউরুটির মতো লাগছিল মহুয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।

সেখান থেকে সনিয়া-রাহুল এবং বিরোধী পক্ষের বাঘা বাঘা নেতাদের সর্বসমক্ষে তাঁর অনুবর্তী হওয়া। লোকসভায় তাঁর হয়ে বিরোধী শিবিরের গলা ফাটানো। এবং সবচেয়ে বড় কথা— তাঁকে ঘিরে বিরোধী শিবিরের এককাট্টা হয়ে যাওয়া। তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস পর্যুদস্ত হওয়ার পরে খানিক আলগা আলগা বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের মধ্যে অনুঘটক হয়ে সম্পর্কটা আবার আঠালো এবং ঘন করে দেওয়া। ঈষৎ স্বাধীনতা নিয়ে বললে, জাতীয় রাজনীতিতে আপাতত মোদী-বিরোধিতার অন্যতম ‘ম্যাসকট’ হয়ে দাঁড়ানো। এতটা কি মাউন্ট হলিওকের প্রাক্তন ছাত্রী এবং জেপি মর্গ্যানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজেও ভেবেছিলেন?

হয়তো ভেবেছিলেন। হয়তো ভাবেননি। কিন্তু তাঁকে বহিষ্কারের দিন লোকসভায় স্পিকার তাঁকে বলতে দিলে কী বলবেন, সে বিষয়ে তৈরি হয়ে এসেছিলেন। কর্পোরেট সংস্কৃতিতে একদা অভ্যস্ত মহুয়া আইনসভায় প্রতিটি বক্তৃতা করার আগে হোমওয়ার্ক করেন। তার পরে লিখিত পয়েন্ট নিয়ে সভায় হাজিরা দেন। শুক্রবারেও তাঁর হাতে একগুচ্ছ পয়েন্ট লেখা কাগজের তাড়া ছিল। সেই পুঁথি বাজে কাগজের ঝুড়িতে যাবে, এমন মনে করার কারণ নেই। লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে কৃষ্ণনগরের ভোটপ্রচারে বরং তাতে বাড়তি কিছু পয়েন্ট যোগ হবে বলেই মনে হচ্ছে।

মহুয়া কি একেবারেই অপাপবিদ্ধা? কোথাও কোনও গোলমাল ছিল না?

নিরপেক্ষ ভাবে বললে, ছিল। কিছু ভুল তো করেইছিলেন। সে ভুল কৌশলগত। দেশের এক নম্বর রাজনীতিক এবং অন্যতম বৃহৎ বণিকগোষ্ঠীর সঙ্গে টক্কর নিতে গেলে নিজের বর্ম এবং শিরস্ত্রাণ আঁটসাঁট করে যুদ্ধে নামতে হয়। যেমন টপ ফর্মের ব্রেট লি’কে খেলতে গেলে হেলমেট-প্যাড-গ্লাভস-থাই প্যাড- অ্যাবডোমিনাল গার্ডের সঙ্গে বাড়তি এলবো গার্ড আর চেস্ট গার্ডও পরতে হয়। নচেৎ যেখানে-সেখানে কালশিটে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা।

মহুয়া স্রেফ গাছকোমর করে শাড়িটি পরে নরেন্দ্র মোদী এবং গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছেন! কিন্তু লৌহবাসরে ছিদ্র রেখে দিয়েছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেছেন বটে, তিনি যা করেছেন (পরিচিত এবং বিশ্বস্ত কাউকে লগ-ইন এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে দেওয়া) তা আরও অনেক সাংসদই করে থাকেন। হতে পারে। কিন্তু তাঁরা সাম্প্রতিক ভারতের ইতিহাসে (তর্কযোগ্য ভাবে) জনপ্রিয়তম প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়তে নামেন না! বরং তাঁরা চেষ্টা করেন রাজনীতির আশপাশে ব্যক্তি পরিসরে নরেন্দ্র মোদীকে খানিক তুতিয়ে-পাতিয়ে রাখতে। মহুয়া তাঁর অধিগত বিশ্বাস থেকে মোদী-আদানিকে একই বন্ধনীতে রেখে রাজনৈতিক আক্রমণ করছেন। প্রতিপক্ষ হিসেবে বেশ করছেন! কিন্তু আলমারিতে কিছু কঙ্কাল না-রাখলেই ভাল করতেন। হতে পারে সে কঙ্কাল অতটা ভয় দেখাতে পারে না। তার হাড়ে অত জোর নেই। মগনলাল মেঘরাজের জটায়ুকে দেওয়া অভয়বাণী, ‘আঙ্ক্‌ল, ঘাবড়াবেন না। উ সরবতে ভিস (বিষ) নাই’ স্মর্তব্য। কিন্তু কঙ্কাল তো বটে!

যত দূর জানি, প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ভিতরে ভিতরে বিরক্তই হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বিরক্তি রাজনৈতিক। এবং স্বাভাবিক। কেন্দ্রের বকেয়া অর্থ নিয়ে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সারা দেশের নজর কেড়ে নিয়েছে, রাজভবনের অদূরে ধর্না-অবস্থানে পয়েন্ট আরও কিছু বেড়েছে, তখন সম্পূর্ণ উটকো এক ঝামেলায় সেই সফল আন্দোলন থেকে আলো ঘুরে যাওয়ার বিরক্তি। পরিস্থিতি বুঝে মহুয়াও প্রথম দিকে চুপচাপই ছিলেন। হিতৈষীরা সাংবাদিক বৈঠক করার পরামর্শ দিলেও করেননি। তার পরে খেলাটা ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে ফুটবলের আপ্তবাক্য প্রয়োগ করেন— আক্রমণই রক্ষণের সেরা উপায়! রাজনৈতিক হামলার যে ঢেউ তাঁর দিকে নিরন্তর ধেয়ে আসছে, তার উপর পাল্টা হা-রে-রে-রে করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নিজের ক্রুশ নিজেকেই বহন করতে হবে। দলনেত্রীকে জানিয়ে বাছাই সংবাদমাধ্যমে একের পর এক সাক্ষাৎকার দিতে শুরু করেন মহুয়া (তত দিনে অভিষেকও বলে দিয়েছেন, ‘‘এটা মহুয়ার নিজের লড়াই। তিনি নিজের লড়াই লড়ে নিতে জানেন’’)। তিনি জানতেন শহুরে, আলোকপ্রাপ্ত এবং কিছু ক্ষেত্রে তথাকথিত প্রভাবশালী বৃত্তে (যাকে রাজধানী দিল্লি ‘খান মার্কেট গ্যাং’ বলে ডাকে) কাঙ্ক্ষিত অভিঘাত তৈরি করতে হবে। সে অভিঘাত যে তৈরি হয়েছে, শুক্রবারের সংসদ চত্বর তা বলে দিয়েছে।

আপাতত মহুয়া ভূতের ভয় কাটিয়ে উঠেছেন। কিন্তু ভবিষ্যৎ?

প্রশ্ন করলে বলছেন, ‘‘লোকসভার এই অধিবেশন তো শেষই হয়ে এল। ২০২৪ সালে ভোটের বছরে পুরো বাজেট অধিবেশনও হবে না। তিন দিনের অধিবেশন বসবে বড়জোর। ফলে আমার কিছু হারানোর নেই। এখন যা হবে, সব ভাল হবে। সবেতেই আমার লাভ।’’

ঠিকই। আপাতত তেমনই মনে হচ্ছে। কিন্তু কে না জানে, পাটিগণিত (বিশেষত, রাজনীতির পাটিগণিত) বলে, কারও লাভ তখনই হয়, যখন অন্য কারও ক্ষতি হয়। রাজনীতির অঙ্কে লাভ-ক্ষতি ব্যস্তানুপাতিক। মহুয়া মৈত্র প্রাক্তন ব্যাঙ্কার। লাভ-ক্ষতির খতিয়ান তিনি বিলক্ষণ বোঝেন। তিনি জানেন, নরেন্দ্র মোদীর ক্ষতি না-হলে তাঁর দীর্ঘমেয়াদি লাভ নেই। বরং বর্ম-শিরস্ত্রাণ আরও জুত করে বাঁধতে হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন