মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্শিয়াং থেকে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, লোকসভায় যা হয়েছে, তা শুনে তিনি স্তম্ভিত।
মমতা বলেন, ‘‘মহুয়ার বিষয়ে আমাদের ‘ইন্ডিয়া’র শরিকেরা আরও খানিকটা সময় চেয়েছিলেন। ৪৯৫ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট, সেটা পড়তে সময় লাগবে না? দু’ঘণ্টার মধ্যে আলোচনা শুরু করা হল। আধ ঘণ্টায় ৪৯৫ পাতার আলোচনা হয়েও গেল! কী করে হল আমি বুঝলাম না। মহুয়ার সাংসদ পদও খারিজ করে দেওয়া হল। আমি স্তম্ভিত।’’
লোকসভায় মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা। পাশাপাশি, দল মহুয়ার পাশে আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘দল মহুয়ার পাশে আছে। ছিল। এই ঘটনা থেকে বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আরও এক বার প্রমাণিত। মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলার সুযোগই দেওয়া হল না। আমি এর তীব্র বিরোধিতা করছি।’’
মহুয়াকাণ্ড ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের আরও একজোট করে তুলেছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি ‘ইন্ডিয়া’কে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমরা একজোট আছি। ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে মিলেই দল মহুয়ার হয়ে লড়বে। আমরা সকলে বিজেপি সরকারের নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’’
মমতা জানান, লোকসভা ভোটের আগে আর একটি মাত্র অধিবেশন বাকি ছিল। তাতে পরিকল্পনামাফিক মহুয়াকে অংশ নিতে দেওয়া হল না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আর একটি অধিবেশন বাকি ছিল। কী এমন হল যে, তার আগেই এক জন মহিলা সাংসদকে লোকসভা থেকে তাড়িয়ে দিতে হল? বিজেপির লজ্জা করে না? এই ঘটনা আমাদের উজ্জীবিত করবে।মহুয়া এবং আমরা লড়াই করব।’’
মহুয়াকে বলার সুযোগ না দিয়ে এবং তাঁকে বহিষ্কার করে সংসদে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। উল্লেখ্য, তাঁর দল যে মহুয়ার পাশে আছে, আগেই তা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘‘মহুয়ার লড়াই তাঁর একার। একাই সেই লড়াই তাঁকে লড়তে হবে।’’ তবে দল মহুয়ার পাশে নেই— এমন কথা বলেননি অভিষেক। শুক্রবার কার্শিয়াং থেকে মমতাও মহুয়ার পাশে থাকার বার্তাই স্পষ্ট করলেন।