ছবি: নরেন্দ্র মোদীর ফেসবুক পেজ থেকে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রদীপ নারায়ণ যাদবকে এখনও মনে পড়ে। প্রায় দু’বছর আগে অযোধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। যে মন্দির উদ্বোধন নিয়ে এখন এত ঘটাপটা, তার প্রবেশদ্বারের অদূরে তাঁর অস্থায়ী দোকান। প্রদীপের বয়স কত? মেরেকেটে পঁচিশ? যখন তাঁর সঙ্গে দেখা, তার কিছুদিন পর যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজ়ারের নীচে গুঁড়িয়ে যাওয়ার কথা তাঁর পৈতৃক দোকানটির। দোকানও ঠিক নয়। দশ ফুট বাই দশ ফুটের একটা কুঠুরি। সেটাও ধুলোয় মিশে যাবে। কিন্তু তা নিয়ে প্রদীপের কোনও আফসোস নেই। মহানন্দে আছেন। রামলালার প্রতি অগাধ ভক্তি তাঁর। যেমন অটুট বিশ্বাস ‘বুলডোজ়ার বাবা’ যোগী আদিত্যনাথের উপর। যে বিশ্বাস বলে, যা হচ্ছে সব ভালর জন্যই হচ্ছে। রামলালা সব ঠিক করে দেবেন! সব আশঙ্কা টুসকিতে উড়িয়ে প্রদীপ বলেছিলেন, ‘‘দোকান ভাঙে ভাঙুক! রামলালার মন্দির তো হবে। রামলালা চাইলে দোকান আবার হয়ে যাবে। অযোধ্যায় সব ভগবানের ইচ্ছায় চলে।’’
যে রামলালা সব ঠিক করে দেবেন, তাঁর মূর্তি এসে গিয়েছে অযোধ্যার নির্মীয়মাণ রামমন্দিরে। কলকাতায় বসে ভক্ত প্রদীপের হোয়াট্সঅ্যাপ স্টেটাসে আপলোড করা ভিডিয়ো দেখলাম। গভীর রাতে পেল্লাই ট্রাকে মূর্তি এসে পৌঁছল অযোধ্যায়। সে মূর্তি স্থাপনও হয়ে গিয়েছে গর্ভগৃহে। শুধু প্রাণপ্রতিষ্ঠার ওয়াস্তা। যা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ‘মার্গদর্শক’ লালকৃষ্ণ আডবাণীর কথায়, ‘রামরথের আসল সারথি’।
সারথি? না কি তিনিই ‘রাম’?
জানুয়ারির ২২ তারিখে যিনি রামলালার মূর্তিতে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করবেন, তিনি তো আসলে নেমেছেন ধর্মের সুচারু মোড়কে দেশ জুড়ে লোকসভা ভোটের আগে ‘নব রামায়ণ’ রচনা করতে। নইলে যে মন্দির এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, সেই মন্দির কেন হুড়োতাড়া করে লোকসভা ভোটের দু’মাস আগেই খুলে দেওয়া হচ্ছে? কেন যজ্ঞিবাড়ির মতো এই বিপুল আয়োজন? স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে পাঁচটি সবচেয়ে মোড়-ঘোরানো ঘটনার মধ্যে সম্ভবত অন্যতম হতে চলেছে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। যার প্রধান ঋত্বিক মোদী স্বয়ং। কালো গ্রানাইট পাথরে তৈরি ৫১ ইঞ্চির যে মূর্তিতে তিনি প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন, নিজেকেও কি তিনি ক্রমশ সেই রকম এক বিগ্রহের পর্যায়েই তুলে নিয়ে যাচ্ছেন না?
অযোধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচি ঘিরে দেশের (কিছু বিদেশেরও) নিউজ় চ্যানেলে যে বিরামহীন কভারেজ দেখছি, তাতে সত্যিই মনে হচ্ছে, গোটা দেশে আর কোথাও কিছু নেই! রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র খবর টিমটিম করছে এক কোনায়। কিছু কংগ্রেসি ছাড়া কারও কোনও উৎসাহ আছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে কী-ই বা করার আছে! আনন্দবাজার অনলাইনও তো রিপোর্টার পাঠিয়েছে অযোধ্যায়। ‘ইভেন্ট’ বলে কথা!
একের পর এক রাজ্য অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করছে। মুকেশ অম্বানী তাঁর সমস্ত দফতরে পুরো দিনটাই ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। অযোধ্যা জুড়ে ঢাক, ঢোল, মৃদঙ্গের তালে তালে লোক নাচছে। ফুলেল আবহে গদগদ করছে ভক্তি। ১২০০ কিলোর অতিকায় লাড্ডু বানানো হচ্ছে। এসেছে ৪০০ কিলো ওজনের তালা। মনুমেন্টের সাইজ়ের ধূপকাঠি আসছে ট্রাকে চেপে। অযোধ্যা জুড়ে ভীমনাদ উঠছে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় সিয়ারাম’ বলে। রামমন্দিরের ডিজ়াইনের আমেরিকান ওয়ালনাট কাঠের তিনতলা বাক্সে বন্দি হয়ে পৃথিবীর অন্যতম দামি রামায়ণ জাপান থেকে আমদানিকৃত হয়ে এসেছে অযোধ্যায়। অর্গানিক কালিতে ছাপা। দাম ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। বড় বড় প্রেক্ষাগৃহে টিকিট কেটে রামমন্দিরের উদ্বোধন দেখানোর বন্দোবস্ত হয়েছে। টপটপ করে চুঁইয়ে পড়ছে ভক্তির রস। এতটাই যে, মুছিয়ে দেওয়ার লোক চাই বলে মনে হচ্ছে।
দেখতে দেখতে সেই দু’বছর আগের কথা মনে পড়ছিল। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আবহে অযোধ্যায় যাওয়া। রামলালার মন্দিরে যাওয়ার অনেক পথ। কিন্তু একটি ছাড়া সব ক’টিতেই কড়া প্রহরা। ভয়ঙ্কর দেখতে ব্যারিকেড। পদে পদে ঠোক্কর। হলদে রঙের বিশেষ ‘পাস’ ছাড়া মন্দিরের ধারেপাশে পত্রকারদের যাওয়ার অনুমতিও নেই। কিন্তু তাতে করে আর ফিচেল সাংবাদিকদের কবে রোখা গিয়েছে! নোটবই-কলম ছেড়ে মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে ‘রামভক্ত’ সেজে ঢুকে পড়লে আর আটকায় কে। অতএব ‘সুগ্রীব কিলা’র পাশ ঘেঁষে ঢুকে পড়া গিয়েছিল নির্মীয়মাণ রামমন্দিরের চত্বরে। ‘রামমন্দির দর্শন মার্গ’ ধরে। দু’পাশে একের পর এক মন্দির। রাম-সীতার মন্দির। রাধা-কৃষ্ণের মন্দির। শেষতম তল্লাশির পর একটা শুঁড়িপথ। লম্বা খাঁচার মতো। দু’পাশে জাল। মাথার উপর জাল। খানিক এগিয়ে সেই জালের ডান দিকে ‘কর্মভূমি’। বিশাল এলাকা জুড়ে দাঁড়িয়েছিল দানবীয় ক্রেন। মন্দিরের ভিত তত দিনে তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিশাল চাতাল। এক পাশে নীল তার্পোলিনে ঢাকা বিশাল বিশাল পাথরের ব্লক। গোটা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মাথায় হেলমেট-পরা ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাঁদের পায়ের তলায় গুঁড়িয়ে-যাওয়া বাবরি মসজিদের ২.৭৭ একর জমি। যার পুরোটা জুড়ে মাথা তুলেছে রামমন্দির। আশপাশের আরও অনেক জমি নিয়ে পুরো এলাকাটা অনেক, অনেক, অনেক বড়। ১০৮ একর। ৩০৩ বিঘা।
সেই খাঁচার ভিতর দিয়ে খানিক এগিয়ে রামলালার মন্দির। কৌণিক ছাদ। দেওয়ালে কাচ-বসানো জানালা। মন্দিরের বাইরের চত্বরটা ঢাকা ছিল টকটকে লাল কার্পেটে। ভিতরে রামলালার মূর্তি। তীব্র আলোয় ঝলমল করছিল। পটভূমিকায় ঝকমকে জরির কাপড়। সম্ভবত সেই কারণেই মূর্তির আশপাশে বাড়তি একটা জেল্লা। একটা ছটা। একটা ঐশী বিভ্রম।
সেই বিভ্রমই কি আবার দু’বছর পরে তৈরি করা হচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে?
জন ডেনভারের ‘কান্ট্রি রোড্স’-এর অনুকরণে ‘অযোধ্যা রোড্স’ গান বেঁধে ‘এক্স’-এ পোস্ট করা হচ্ছে। যার লাইন বলছে, ‘অযোধ্যা রোড্স, টেক মি হোম, টু হিজ় অ্যাবোড, হোয়্যার আই বিলং’ (ভাবা যায়)। অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত বলছেন, ‘‘অযোধ্যা ধাম হল ভ্যাটিক্যান সিটির মতো। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরেই দেশে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে।’’ প্রৌঢ় জ্যাকি শ্রফ মুম্বইয়ে ক্যামেরার সামনে মন্দির ঝাঁটাচ্ছেন। অমিত শাহ বলছেন, ‘‘সাড়ে পাঁচশো বছর অসম্মান সহ্য করার পরে ভগবান রামকে তাঁর নিজের ঘরে ফিরিয়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটা গোটা ভারতের কাছে গৌরবের।’’
৫৫০ বছরের অসম্মান থেকে রামকে রক্ষাকারী মোদীর গলায় অযোধ্যা-কর্মসূচির আগে উঠেছে সমীহ উদ্রেককারী সাধুসুলভ রুদ্রাক্ষের ডবল মালা। ডান হাতের কব্জিতে কালো কারের পাশে বাঁধা লাল ভক্তিমার্গ সূচক তাগা। খাচ্ছেন শুধু ডাবের জল। ঝাঁট দিচ্ছেন মন্দির। শয়ন মেঝেতে (হট্টমন্দিরে বললেও চলে)। অর্থাৎ, পবিত্র কর্তব্য সম্পাদনের আগে কঠোর কৃচ্ছ্রসাধন করে নিজেকে শুচিশুভ্র করে নিচ্ছেন। অযোধ্যায় মূল রাস্তা ‘ধর্মপথ’-এর দু’পাশে তাঁর বড় বড় হোর্ডিং পড়েছে। সোমবার সকালেই রামনগরীতে পৌঁছে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করা যায়, সোমবার রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে রবিবারও দিনভর তাঁর চতুর্পার্শ্বে এক ঐশ্বরিক জ্যোতির্বলয় নির্মিত হবে। যা দেখে দেশের চোখে ঝিলমিল লেগে যাবে।
অযোধ্যায় যাওয়ার অব্যবহিত আগে শনিবার মোদী গিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতে মন্দির সফরে। তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লির রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরে (যে মন্দিরের সঙ্গে অযোধ্যার যোগসূত্র আছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষেরই দাবি) গিয়ে ‘কম্বা রামায়ণ’ শ্রবণ, হাতির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং মাউথ অর্গান বাদন। রামেশ্বরমে সমুদ্রে ডুব। পুরাণ বলে, এই রামেশ্বরম দিয়েই নাকি সাগর পেরিয়ে লঙ্কাজয়ে গিয়েছিলেন সসৈন্য রামচন্দ্র। সেই পূতপবিত্র সাগরজল থেকে উঠে আসার পরে পরনে আকাশি কুর্তা-সাদা পাজামা আর চোখে চশমা পরেই মাথায় বালতি বালতি ঠান্ডা জল ঢেলে ধারাস্নান— দেখেশুনে মনে হচ্ছিল, মূলত দুগ্ধবলয়ের দেবতা রামকে বিন্ধ্যপর্বতের ওপারে নিয়ে যাওয়ার সুতোই জোড়া হচ্ছে বুঝি! স্বাভাবিক। গতবারের ৩০৩ আসন টপকাতে গেলে দক্ষিণে আসন চাই বিজেপির। এদিকে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আসন আর বাড়বে না। কিন্তু ৪০০ আসনের ডঙ্কা বাজানো হয়ে গিয়েছে। রামসুতোয় বাঁধতে হবে গোটা দেশ।
রামসুতো। রাম-রাজনীতি!
যে রাম-রাজনীতির দিকে গভীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে বিরোধীরা। বাংলার শাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিন ‘সংহতি মিছিল’ নিয়ে রাস্তায় নামছেন (সম্ভবত খানিকটা রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়েই নামছেন। কারণ, তিনিই সারা দেশে একমাত্র ব্যতিক্রম। বাকি প্রায় সমস্ত রাজ্য সরকার সোমবার হয় পূর্ণদিবস অথবা অর্ধদিবস ছুটিই ঘোষণা করে দিয়েছে। রাম-ধাক্কা একেই বলে)। মমতার মিছিলে সমস্ত ধর্মের প্রতিনিধি থাকবেন। তিনি নিজেও মিছিলের আগে কালীঘাটে পুজো দেবেন। মিছিল চলাকালীন মসজিদে চাদর চড়াবেন। প্রার্থনা করবেন গির্জায়। আর তাঁর দলের অধিকাংশ নেতা-নেত্রী জুলজুল করে তাকিয়ে জনতার মন পড়ার চেষ্টা করবেন। একান্ত আলোচনায় বলবেন, লোকসভা ভোটের আগে রাম-রাজনীতির ‘মোকাবিলা’য় পাল্টা রাজনৈতিক আখ্যান তৈরি করতে হবে। করতেই হবে।
দু’বছর আগে অযোধ্যা সফরের নোটবই খুলে দেখছি, যোগী আদিত্যনাথ বর্ণিত ‘ভব্য’ রামমন্দিরের উচ্চতা ১৬১ ফুট। গোটা মন্দির চত্বরের আয়তন ২.৭ একর। মূল মন্দিরের এলাকা ৫৭,০০০ বর্গফুট। কিন্তু মন্দির নির্মাণে লোহা বা সিমেন্ট নয়, ব্যবহার করা হয়েছে গ্রানাইট পাথর, চুনাপাথর এবং শ্বেতপাথর। কারণ, লোহার আয়ু নাকি বড়জোর ৮০ থেকে ৯০ বছর। পাথরের একটি স্ল্যাবের মধ্যে অন্য স্ল্যাব ঢুকিয়ে ‘লক অ্যান্ড কী’ পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে তিনতলা মন্দির। যাতে অন্তত আড়াই হাজার বছর দাঁড়িয়ে থাকে মন্দির। ভূমিকম্পও টলাতে না-পারে। সরযূ নদীর পারের জমিতে বালির ভাগ বেশি। ফলে নির্মাণ শুরু করে ফাঁপরেই পড়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। শেষ পর্যন্ত মন্দিরের জমিতে ১৫ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে তুলে ফেলা হয়। সেই অতিকায় গহ্বর ভরানো হয় বালি-পলি-জৈব পদার্থের মিশ্রণে তৈরি বিশেষ মাটি দিয়ে। মন্দিরের গাঁথনিতে কোথাও ইস্পাতের রড ব্যবহার করা হয়নি। একের পর এক প্রায় ৫০টি স্তরে মাটি ভরাট করা হয়েছে। যাতে ভিত আরও মজবুত হয়। ভিতের উপর দেড় মিটার পুরু অধাতব কংক্রিটের স্তর। তার উপরে প্রায় সাড়ে ৬ মিটার পুরু গ্রানাইট পাথর। তার উপরে তিন থাকে মন্দির। একতলায় ১৬০টি, দোতলায় ১৩২টি এবং তৃতীয় তলে ৭৪টি চুনাপাথরের স্তম্ভ।
কিন্তু এ সব তো মহাফেজখানায় পড়ে-থাকা তথ্য। একসারসাইজ় বুকের আঁকজোক, নকশা, বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষা। যা দিয়ে ভবিষ্যতে স্থাপত্যশিল্পীরা গবেষণা করতে পারবেন। যে অঙ্কে দুইয়ে-দুইয়ে চার হয়। রাজনীতির অঙ্ক তা বলে না। রাজনীতির অঙ্ক বলে, দুইয়ে-দুইয়ে কখনও কখনও তিন হতে পারে। আবার কখনও কখনও পাঁচ।
সেই অঙ্ক কষেই সোমবার ভারত-ভোটের ‘নব রামায়ণ’ লেখা শুরু করবেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। ‘আদিকাণ্ড’ নয়, সে রামায়ণ শুরু হবে ‘অযোধ্যাকাণ্ড’ দিয়ে। সে রামায়ণে কার আঙুলে বাঁধা রামসুতো? সে রামায়ণের যুগন্ধর এবং পুরুষোত্তম কে?
বলার জন্য কোনও পুরস্কার নেই।