Adani Group

আদানিরা দেয়নি লগ্নির তথ্য, হতে পারে জরিমানা

আদানিদের নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ কমার নাম নেই। গুজরাতে আদানি পাওয়ারের থেকে বিদ্যুৎ কেনা নিয়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে কংগ্রেসের পরে এ বার মুখ খুলেছে আপ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ০৫:৩৩
An image of Gautam Adani

গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।

আদানি কাণ্ডে তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানিয়ে গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। তদন্তের ফলাফল না জানালেও রিপোর্টে প্রতিটি পদক্ষেপের কথা লিখেছে তারা। তবে সূত্রের খবর, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সম্পর্কযুক্ত সংস্থার (রিলেটেড পার্টি) সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্য জানাতে ব্যর্থতা এবং বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে রিপোর্টে। যদিও এই নিয়ন্ত্রণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি ‘টেকনিক্যাল’ এবং এই ভুলের সর্বোচ্চ শাস্তি আর্থিক জরিমানা। তার বেশি কিছু নয়। এ ব্যাপারে ই-মেলে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি আদানি গোষ্ঠী এবং সেবি। কাল সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।

Advertisement

সূত্রের বক্তব্য, একটি সংস্থায় তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্য কোনও সংস্থা বা লগ্নিকারী বিনিয়োগ করলে সেই লগ্নিকে চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রককে জানানোই নিয়ম। না হলে সংশ্লিষ্ট নথিভুক্ত সংস্থার হিসাবের খাতা সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হতে পারে। সেবি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, এই ধরনের ১৩টি লেনদেন চিহ্নিত করেছে তারা। কিন্তু সূত্রটির দাবি, এই রকম ক্ষেত্রে এক একটি লেনদেনে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা করে আর্থিক জরিমানা হতে পারে। আবার নিয়ন্ত্রণ বিধি অনুযায়ী, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার মাধ্যমে কোনও ভারতীয় সংস্থায় ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারে লগ্নি করা যায় না। ওই সীমা পার করলে তা প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি (এফডিআই) হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কথা। কয়েকটি ক্ষেত্রে ‘অনিচ্ছাকৃত ভাবে’ ওই সীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। কোন সংস্থার মাধ্যমে কোন সংস্থায় লগ্নি করা হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। এ ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানার পরিমাণও স্পষ্ট নয়।

এ দিকে, আদানিদের নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ কমার নাম নেই। গুজরাতে আদানি পাওয়ারের থেকে বিদ্যুৎ কেনা নিয়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে কংগ্রেসের পরে এ বার মুখ খুলেছে আপ। আজ দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসার এবং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন। সম্প্রতি কংগ্রেস অভিযোগ করে, বিদ্যুৎ কেনার জন্য গত পাঁচ বছরে আদানি পাওয়ার মুন্দ্রাকে ১৩,৮০২ কোটি টাকা মিটিয়েছে রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত গুজরাত উর্জা বিকাশ নিগম। তা-ও আবার কয়লা কেনার নথি ছাড়াই। সম্প্রতি অতিরিক্ত টাকা মেটানোর জন্য আদানিদের সংস্থার থেকে ৩৮০২ কোটি টাকা ফেরত চেয়েছে গুজরাত সরকারের সংস্থাটি। সঞ্জয় বলেন, ‘‘কোথায় ইডি? কোথায় সিবিআই? পান থেকে চুন খসলে তারা পশ্চিমবঙ্গ কিংবা তেলঙ্গানায় পৌঁছে যায়।’’ রাজ্যের অবশ্য বক্তব্য, ওই লেনদেন অন্তর্বর্তী। চূড়ান্ত নয়।

আরও পড়ুন
Advertisement