—প্রতীকী ছবি।
‘ভালুকের আঁচড়ে’ ফের ক্ষতবিক্ষত শেয়ার বাজার। হাজার পয়েন্টের বেশি নামল সেনসেক্স। নিফটির অবস্থাও তথৈবচ। ফলে লক্ষ্মীবারে লাভের মুখ দেখলেন না লগ্নিকারীরা। আগামী কয়েক দিন বাজারের অস্থিরতা বজায় থাকবে বলেই মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ৭৯,০৪৩.৭৪ পয়েন্টে গিয়ে বন্ধ হয় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)। এ দিন সেনসেক্স পড়েছে ১ হাজার ১৯০.৩৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ, বিএসইর সূচক নেমেছে ১.৪৮ শতাংশ।
সকালে বাজার খোলার সময়ে অবশ্য ৮০ হাজারে দাঁড়িয়েছিল সেনসেক্স। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০,৪৪৭.৪০ পয়েন্টে ওঠে সূচক। কিন্তু সাড়ে ১০টার পর থেকে নিম্নমুখী হয় সেনসেক্সের লেখচিত্র। তার পর আর কখনওই তা সেখানে উপরের দিকে যায়নি।
অন্য দিকে দিনের শেষে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সূচক থেমেছে ২৩,৯১৪.১৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ, নিফটিতে ৩৬০.৭৫ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। শতাংশের নিরিখে যা ১.৪৯ বলে জানা গিয়েছে। এ দিন ২৪,২৭৪ পয়েন্টে খুলেছিল নিফটি। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,৩৪৫ পয়েন্টে ওঠে এই সূচক।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলি অবশ্য এখনও শেয়ার বাজার ইতিবাচক রয়েছে বলেই দাবি করেছে। এ দিন ১ হাজার ৮৬৯টি স্টকের দর বেড়েছে। দাম পড়েছে ১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ারের। আর ৮৮টি স্টকের দর কোনও পরিবর্তন হয়নি।
লক্ষ্মীবারে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ারে লগ্নিকারীদের সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে। ইনফোসিস, টিসিএস, টেক মাহিন্দ্রা এবং এইচসিএল টেকের স্টকের দর কমেছে যথাক্রমে ৩.৫, ১.৯, ২.৫ ও ২.৭ শতাংশ। নিফটিতে গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলির শেয়ারের দর কমেছে ২.৩ শতাংশ।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রতি দিনই অস্থির থেকেছে শেয়ার বাজার। সোমবার সেনসেক্স ৮০ হাজারের গণ্ডি পেরোলেও মঙ্গলেই তা সামান্য নেমে যায়। তবে ওই দিনও ৮০ হাজারের থেকে নামেনি সূচক। বুধে ফের ঊর্ধ্বমুখী হয় স্টকের লেখচিত্র। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবারও ৭৯ হাজারে গিয়ে থামল সেনসেক্স।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)