—প্রতীকী ছবি।
চলতি আর্থিক বছরে রাজস্ব ঘাটতিকে ৪.৭৫ শতাংশে আটকে রাখতে পারবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রীয় বাজেটে স্থির করা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ঘাটতি কমবে ০.১৯ শতাংশ। চলতি আর্থিক বছরের (২০২৪-২৫) তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পৌঁছে এমনটাই দাবি করল দেশীয় রেটিং সংস্থা ‘ইন্ডিয়া রেটিং অ্যান্ড রিসার্চ’।
গত ২৭ নভেম্বর রাজস্ব ঘাটতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট রেটিং সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছে, আর্থিক বছর শেষে ভর্তুকি বাদে রাজস্ব ব্যয় জিডিপির ০.১২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। বাজেটে যা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে কম। একে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে ইন্ডিয়া রেটিং অ্যান্ড রিসার্চ।
২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে মুখ খুলেছেন রেটিং সংস্থাটির মুখ্য অর্থনীতিবিদ এবং পাবলিক ফিন্যান্সের প্রধান দেবেন্দ্র কুমার পন্থ। তাঁর কথায়, কেন্দ্রের অনুমান মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১১.১১ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই খরচ ৬২ হাজার কোটি টাকা কম হবে।
পন্থ বলেছেন, ‘‘এক বছর আগের থেকে সরকারের মূলধন ১০.৬ শতাংশ বেশি হবে। মূল সংখ্যার থেকে ১৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি হবে বলে মনে করেছিল কেন্দ্র। শুধু তা-ই নয়, প্রস্তাবিত মূলধনী ব্যয়ের সূচকে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এই আর্থিক বছরে জিডিপির নিরিখে মূলধনী ব্যয় ৩.২১ শতাংশে দাঁড়াবে। গত দু’দশকের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।’’
রেটিং সংস্থার পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছরের মে মাসে লোকসভার নির্বাচন সরকারের মূলধনী ব্যয় বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করেছে। এই আর্থিক বছরে ‘ক্যাপেক্স’ (মূলধনী ব্যয়) ১৫.৪২ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। এর লক্ষ্যমাত্রা ৫২ শতাংশ রাখা হয়েছে। সেখানে পৌঁছনো যথেষ্ট কঠিন বলেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।