—প্রতীকী ছবি।
নেমেই চলেছে শেয়ার বাজার। সূচকের এ হেন পতনে মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। সেরা সময় থেকে সেনসেক্স এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার পয়েন্ট পিছলে পড়েছে। নিফটির লেখচিত্রতে ১০ শতাংশের বেশি পতন লক্ষ করা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, এখনই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বাজার। উল্টে আরও কিছুটা কমতে পারে শেয়ার সূচক। এই অবস্থায় খুচরো বিনিয়োগকারীরাও তাঁদের লগ্নি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে মিউচুয়াল ফান্ড বা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে (এসআইপি) বিনিয়োগ কতটা লাভজনক? এতে লগ্নির জন্য আরও কিছু দিন কি অপেক্ষা করা উচিত? ইতিমধ্যেই এই সমস্ত প্রশ্ন ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
উল্লেখ্য, বাজার পতনের সময় মিউচুয়াল ফান্ড বা এসআইপিতে লগ্নি করলে স্বাভাবিক ভাবেই সেগুলির মূল্য হ্রাস হয়ে থাকে। আবার শেয়ার বাজারের ‘ষাঁড়’ ছুটতে শুরু করলেই চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে এর দাম।
তবে গ্রাহক যখন সমগ্র বাজারের চক্র জুড়ে ক্রয় করেন, তখন মোট খরচ গড় হয়ে যায়। যার অর্থ হল, কেনাকাটার সঠিক মূল্যের জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে না। আর তাই নিয়মিত বিরতিতে লেনদেনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞেরা।
এসআইপিতে লগ্নির ব্যাপারে মুখ মুখেছেন দিল্লির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং আর্থিক উপদেষ্টা দীপক আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘বাজার সংশোধনের সময়কে লেনদেনের জন্য বেছে নেওয়া উচিত। এসআইপি বন্ধ করার পরিবর্তে লগ্নিকারীরা বাজারের সংশোধনকেই পুঁজি করতে পারেন। এটি আরও বেশি পরিমাণে কেনার সুযোগ হিসাবে দেখতে পারেন তাঁরা।’’
একই কথা সুর শোনা গিয়েছে ‘নুভামা ওয়েলথ’-এর রিজিওন্যাল প্রধান কুণাল আচার্যর গলায়। তাঁর কথায়, ‘‘এসআইপি এমনই একটা প্রকল্প, যেখানে প্রতি মাসে বিনিয়োগ করতে হয়। লম্বা সময়ে লগ্নির কথা ভেবে এই প্রকল্পে টাকা ঢালেন গ্রাহক। বাজার নিম্নমুখী থাকলে কম টাকায় বেশি ইউনিট কেনার সুযোগ পাবেন তিনি। আর সেটাই আগামী দিনে মোটা টাকা পেতে সাহায্য করবে তাঁকে।’’
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপিতে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এসআইপিতে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নন।)